জাপানে ভূমিকম্পে মৃত্যু বেড়ে ১৬১, তুষারপাতে উদ্ধারকাজ ব্যাহত

ভূমিকম্প আক্রান্ত ইশিকাওয়া প্রিফ্যাকচারের ওয়াজিমা অঞ্চলটি বরফে ঢেকে গেছে। ছবি: এএফপি
ভূমিকম্প আক্রান্ত ইশিকাওয়া প্রিফ্যাকচারের ওয়াজিমা অঞ্চলটি বরফে ঢেকে গেছে। ছবি: এএফপি

ইংরেজি নববর্ষের দিনে জাপানে আঘাত হানে শক্তিশালী এক ভূমিকম্প। এরপর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছেন হাজারো মানুষ। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬১।

আজ সোমবার বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পের পর এখনো ১০৩ ব্যক্তি নিখোঁজ আছেন। এই ভূমিকম্পের ফলে বড় আকারে অগ্নিকাণ্ড দেখা দেয় এবং  পশ্চিমাঞ্চলীয় ইশিকাওয়া প্রিফেকচারে সুনামির ফলে এক মিটার উঁচু জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানে। .

নোতো উপদ্বীপে প্রায় এক হাজার ভূমিধসের ঘটনায় সেখানকার সড়কগুলো বড় আকারে ক্ষতির শিকার হয়েছে। ভূমিকম্প ও ভূমিধসের আঘাতে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় সব মিলিয়ে প্রায় দুই হাজার মানুষ এখনো আটকে আছেন।

এর মাঝে গত দুই দিন পুরো অঞ্চলটি বরফে আচ্ছাদিত হয়েছে। কিছু জায়গায় রাতভর বরফ পড়ে, যা উচ্চতায় ১০ সেন্টিমিটারের সমান। যার ফলে আটকে পোড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করা বা তাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া বেশ ঝামেলাপূর্ণ হয়ে পরেছে।

শনিবার ৯০ বছরের বেশি বয়সী এক মহিলাকে একটি ধসে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়।

কিছু এলাকায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় আরও ভূমিধসের ঝুঁকি রয়েছে এবং আরও কিছু দালান ধসে পড়তে পারে বলে আঞ্চলিক সরকার হুশিয়ার করেছে।

জাপানের সুজু শহরের মিসাকি এলাকায় ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ। ছবি: এএফপি
জাপানের সুজু শহরের মিসাকি এলাকায় ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ। ছবি: এএফপি

আজ সোমবার ইশিকাওয়া প্রিফ্যাকচারের ১৮ হাজার বাড়িতে ছিল না বিদ্যুৎ। রোববার পর্যন্ত ৬৬ হাজার ১০০ বাড়িতে পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।

সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৮০০ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের জন্য যথেষ্ট পানি, বিদ্যুৎ ও শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেই বলে জানিয়েছে জাপানের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা রোববার বলেন, 'প্রথম প্রাধান্যের বিষয় ছিল ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মানুষকে উদ্ধার করা এবং বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া মানুষদের কাছে পৌঁছানো।'

তিনি জানান, সরকার পুলিশ ও দমকল বাহিনীর হেলিকপ্টারগুলোকে উদ্ধারকাজে নিযুক্ত করেছে। এছাড়াও, বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার জনগোষ্ঠীদের খুঁজে পেতে উদ্ধারকর্মীরা কাজ করছেন।

জাপানে প্রতিবছর শত শত ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ থাকে ন্যুনতম। মূলত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে চালু কঠোর ভবন নির্মাণবিধির কারণেই এই সাফল্য।

তবে পুরনো দালানগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। 

 

Comments

The Daily Star  | English

FY26 Budget: Subsidy spending to hold steady

The budget for fiscal 2025-26 is likely to be smaller than the current year’s outlay, but subsidy spending is expected to remain almost unchanged at Tk 1,15,741 crore.

8h ago