অসুস্থ অং সান সুচির উন্নত চিকিৎসার আবেদন নাকচ করল সামরিক জান্তা

মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের ২ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে জাপানে আয়োজিত বিক্ষোভে সে দেশে বসবাসরত মিয়ানমারের নাগরিকরা অং সান সু চি সহ সব রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি দাবি করেন। ছবি: রয়টার্স
মিয়ানমারের সামরিক অভ্যুত্থানের ২ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে জাপানে আয়োজিত বিক্ষোভে সে দেশে বসবাসরত মিয়ানমারের নাগরিকরা অং সান সু চি সহ সব রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি দাবি করেন। ছবি: রয়টার্স

দীর্ঘদিন ধরে আটক আছেন মিয়ানমারের সাবেক নেত্রী অং সান সু চি। সম্প্রতি তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার জন্য উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থার আবেদন জানানো হলেও দেশটির সামরিক জান্তা এই অনুরোধ নাকচ করেছে।

আজ মঙ্গলবার এ ঘটনার বিষয়ে জানেন এমন এক সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই তথ্য জানিয়েছে। 

আপাতত ৭৮ বছর বয়সী এই নোবেল পুরষ্কার বিজেতার চিকিৎসার দায়িত্বে আছেন কারাগারের ডাক্তাররা।

গ্রেপ্তার হওয়ার আশঙ্কায় নিজের পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র বলেন, 'তার মাড়ি ফুলে গেছে এবং তিনি ভালো করে খাবার খেতে পারছেন না। তিনি মাথা ঘুরানো ও বমি বমি ভাবের অভিযোগ করছেন'। 

এ বিষয়ে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় রয়টার্স।

সু চি ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে আটক আছেন। সে সময় সামরিক বাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে।

১৯টি ফৌজদারি অপরাধে ২৭ বছরের আটকাদেশের মুখোমুখি হয়েছেন সু চি। তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। যার মধ্যে আছে নির্বাচনে কারচুপি, দুর্নীতি ও উসকানি দেওয়া সহ আরো নানা অপরাধ। তিনি প্রতিটি অভিযোগের বিরুদ্ধে আপিল করছেন।

জুলাইতে তাকে কারাগার থেকে রাজধানী নেপিডোর এক সরকারী বাড়িতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে গৃহবন্দী আছেন তিনি। 

সু চির সর্বশেষ সরকারের নেতৃবৃন্দ ও সামরিক সরকার বিরোধীদের সমন্বয়ে গঠিত ছায়া সরকার ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) জানিয়েছে, রাজনৈতিক বন্দীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব সামরিক জান্তাকেই নিতে হবে।

এনইউজির মুখপাত্র কিয়াও জ রয়টার্সকে বলেন, 'আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিৎ জান্তার ওপর চাপ প্রয়োগ করা, যাতে তারা অং সান সু চি সহ সব রাজনৈতিক বন্দীদের স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে'।

বেশ কয়েকটি দেশের সরকার সু চি'র নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

4h ago