সিলেটে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫

সিলেটে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪
ছবি: স্টার

সিলেটে ট্রাকের সঙ্গে পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। তারা সবাই সিলেট নগরী থেকে পিকআপ ভ্যানে করে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারে একটি ভবনের ঢালাইয়ের কাজে যাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন আহত একজন শ্রমিক।

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন নির্মাণশ্রমিক পল্লব আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, একটি ট্রাক রাস্তার বাম পাশ থেকে ডান দিকে সরে আসলে পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং পিকআপ ভ্যানটি উল্টে যায়।

পুলিশ জানায়, আলু বোঝাই ট্রাকটি মুন্সীগঞ্জ থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ট্রাকচালক ঘুমের ঘোরে রাস্তার ডান দিকে চলে আসায় পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।

আজ (বুধবার) ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটের দিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজারের কুতুবপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনাস্থলে এক নারী শ্রমিকসহ ১১ জন এবং সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর আরও একজনের মৃত্যু হয়। 

গুরুতর আহত আরও ৩ জনের মৃত্যু হলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জনে দাঁড়ায়।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) সুদীপ দাস দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের রশীদ মিয়া (৫০), একই গ্রামের মো সাহেদ নূর (৫০), সৌরভ মিয়া (২৭), বাদশা (২২), মেহের (২৫), একই উপজেলার আলীনগর গ্রামের হারিছ মিয়া (৬৫), পাথাইয়া গ্রামের মো. একলিম মিয়া (৫৫), গছিয়া গ্রামের সিজিল মিয়া (৫৫), মধুপুর গ্রামের সাধু মিয়া (৪০), শান্তিগঞ্জ উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের দুলাল মিয়া (২৫), একই উপজেলার তলের বতন গ্রামের মো. আওলাদ হোসেন (৫০), বাবনগাও গ্রামের শাহিন মিয়া (৪০), নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার দশদার গ্রামের আওলাদ মিয়া (৫০), হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার হলদীউরা গ্রামের আমিনা বেগম (৪৫)।

এ ছাড়া গুরুতর আহত আরও ১২ জন নির্মাণশ্রমিক সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

Comments

The Daily Star  | English

This time our fight is against corruption

From its mammoth rally in Dhaka yesterday, the Jamaat-e-Islami vowed to wage war on corruption if it gets the people’s mandate in the next general election.

4h ago