৭ দিন পর ডুবে যাওয়া ফেরি ‘রজনীগন্ধা’ উদ্ধার

ফেরি উদ্ধার
উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ফেরিটিকে নদীতে ভাসাতে সক্ষম হয়েছে। ছবি: জাহাঙ্গীর শাহ/স্টার

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটের কাছে পদ্মায় ডুবে যাওয়া ফেরি 'রজনীগন্ধা' উদ্ধার হয়েছে।

ডুবে যাওয়ার ৭ দিন পর আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ফেরিটিকে নদীতে ভাসাতে সক্ষম হয়েছে।

উদ্ধারকাজে নিয়োজিত নৌ বাহিনীর ডুবুরি দলের প্রধান লে. শাহ পরান ইমন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'বিকেল পাঁচটার দিকে নদীর তলদেশে থেকে ওয়্যার রোপ বেঁধে রজনীগন্ধাকে টেনে নদী থেকে দুই-তিন ফুট উচ্চতায় ভাসানো হয়েছে। ফেরিটিকে কিছুটা সময় এভাবে তুলে রাখা হলে এর ভেতরে থাকা বালু পরিষ্কার হবে।'

ট্রাক উদ্ধার
আজ দুপুরে আরও একটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে। ছবি: জাহাঙ্গীর শাহ/স্টার

'এতে ফেরির ওজন অনেকটাই কমে যাবে এবং টেনে নদীর পাড়ে নিতে সহজ হবে,' বলেন তিনি।

ফেরিটিকে তীরে নিতে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

১৭ জানুয়ারি সকাল সোয়া ৮টায় কাভার্ডভ্যান, ট্রাকসহ ৯টি গাড়ি নিয়ে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটের কাছে পদ্মা নদীতে ডুবে যায় ফেরি রজনীগন্ধা।

গতকাল ষষ্ঠ দিন পর্যন্ত ৯টি ট্রাকের মধ্যে ৫টি ট্রাক উদ্ধার হয়।

আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আরেকটি ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে।   

মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. আব্দুল হামিদ মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুপুর ১২টার দিকে নদীর তলদেশে একটি ট্রাকের অবস্থান জানতে পারে নৌ বাহিনীর ডুবুরি দল। পরে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ট্রাকটিকে উদ্ধার করে দুপুর আড়াইটার দিকে নদী তীরে নিয়ে আসে।'

ট্রাকটি ইটবোঝাই ছিল এবং ইটগুলো নদীতে পড়ে গেছে। ট্রাকটিকে মালিকের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।

এ নিয়ে এ পর্যন্ত ফেরির সঙ্গে নদীতে ডুবে যাওয়া ৯টি মালবাহী গাড়ির মধ্যে ৭টি উদ্ধার হলো। 

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ ডেইলি স্টারকে জানান, বিআইডব্লিউটিএ, নৌ বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সমন্বয়ে উদ্ধারকারী দল উদ্ধারকাজে নিয়োজিত আছে। উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়-হামজা-রুস্তম উদ্ধারকাজ অব্যাহত রেখেছে। 

তিনি বলেন, 'নদীতে আরও একটি ট্রাকের অবস্থান পেয়েছে ডুবুরি দল। তবে, ফেরি তোলার কাজ শুরু হওয়ায় আজ ওই ট্রাকটিকে তোলা সম্ভব হয়নি। তবে আগামীকালের মধ্যে এটিকে তোলা হবে।'

ফেরি ডুবে যাওয়ার সময় গাড়িচালক, সহযোগী ও ফেরির কর্মচারীসহ ফেরিতে থাকা ২১ জনের মধ্যে সবাই নিরাপদে তীরে আসতে পারলেও, নিখোঁজ ছিলেন ফেরির দ্বিতীয় ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ুন কবীর। গতকাল সোমবার বিকেলে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

2h ago