শাহজালালের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে ৪ দেশের বিশেষজ্ঞ ডাকা হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত করতে চারটি দেশের বিশেষজ্ঞকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন।
উদ্ধার ও আগুন নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছিল কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যদি হয়ে থাকে, সেগুলো খতিয়ে দেখতে আমরা যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, চীন ও তুরস্কের বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তারা অগ্নিকাণ্ডের কারণ এবং এর জন্য কেউ দায়ী কিনা, তা বের করবেন।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও ফায়ার সার্ভিসের কাজের প্রশংসা করে তিনি বলেন, তারা দ্রুত সাড়া দিয়েছে এবং সমন্বিতভাবে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
রাসায়নিক পদার্থ ও পোশাকজাত উপকরণ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অভিযান ব্যর্থ হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি আগুন নেভানো না যেত, তাহলে সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ত। তারা সময়মতো নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে।
১৮ অক্টোবর দুপুর আড়াইটার দিকে লাগা আগুন টানা ২৬ ঘণ্টা জ্বলার পর ১৯ অক্টোবর বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে সম্পূর্ণ নিভে যায়।
আগুনের সূত্রপাত হয় আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সের ৮ নম্বর গেটের কাছে এবং তা দ্রুত রাসায়নিক, ইলেকট্রনিক পণ্য, ওষুধ ও পোশাকে ভরা গুদামগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
১৩টি ফায়ার স্টেশন থেকে ৩৭টি ইউনিটসহ বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বিজিবি ও পুলিশ আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, 'বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব চারটি ফায়ার ইউনিট আছে। তারা ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। অন্য এলাকার ফায়ার ইউনিটগুলোও ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে আসে।'
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'বিমানবন্দরে সব প্রয়োজনীয় অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম আছে। দায়িত্বে থাকা ইউনিটগুলো নিয়ম অনুযায়ী কাজ করেছে।'


Comments