দিনে কৃষক, রাতে অস্ত্রের কারিগর

র‌্যাবের হাতে আটক জাকের। ছবি: সংগৃহীত

৫০ বছর বয়সী জাকেরুল্লাহ ওরফে জাকের। চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার জঙ্গল চাম্বল এলাকার সবাই তাকে সাধারণ কৃষক হিসেবেই চেনেন। তবে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) জানালো ভিন্ন কথা।

দিনের বেলায় নিজের জমিতে চাষাবাদ করলেও রাতে তার পরিচয় কারিগর জাকের। কারণ পাহাড়ের নির্জনে দোচালা ঘরে অস্ত্রের কারখানা স্থাপন করে অস্ত্র তৈরি করে আসছিলেন তিনি। দেশীয় অস্ত্রের কারিগর হিসেবে অপরাধীদের কাছে ইতোমধ্যেই বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি।

র‌্যাব বলছে, বাঁশখালী এলাকায় গোপনে অস্ত্র তৈরির মূল কারিগর এই জাকের। মাদক চোরাকারবারি থেকে শুরু করে জলদস্যু- সবাই তার কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র কেনেন।

গতকাল বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাঁশখালী থানার নতুনপাড়ার পাহাড়ি এলাকায় আব্দুর রহমান নামে একজনের ঘরে অভিযান চালিয়ে ১০টি দেশীয় অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির কাঁচামালসহ জাকেরকে আটক করে র‍্যাব-৭।

জাকেরের কারখানা থেকে জব্দকৃত অস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত

আজ বুধবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, 'জাকের দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গল চাম্বল এলাকায় অস্ত্রের কারখানা স্থাপন করে সেখানে তৈরি অস্ত্র স্থানীয় জলদস্যু, মাদক চোরাকারবারি এবং ডাকাত দলের সদস্যদের কাছে দালালের মাধ্যমে বিক্রি করে আসছিলেন।'

'প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাকের জানান, এক মাসে বিভিন্ন লটে ২০-৩০টি অস্ত্র তৈরি করতেন, স্থানীয় হার্ডওয়ার ও ফার্নিচারের দোকান থেকে এসব অস্ত্র তৈরির উপকরণ সংগ্রহ করতেন এবং সেসব দিয়ে নিখুঁতভাবে বিভিন্ন অস্ত্র তৈরি করতেন। পরে দালালের মাধ্যমে একেকটি অস্ত্র ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করতেন', বলেন এই র‌্যাব কর্মকর্তা।

তিনি আরও বলেন, 'ছোট ওয়ান শুটার গান জাতীয় অস্ত্র প্রস্তুত করতে ৫-৬ দিন সময় নিতেন জাকের। স্থানীয় সূত্র ও গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, তিনি ৭-৮ বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে জড়িত।'

জাকেরের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান এম এ ইউসুফ।

Comments

The Daily Star  | English

Unveil roadmap or it’ll be hard to cooperate

The BNP yesterday expressed disappointment over the absence of a clear roadmap for the upcoming national election, despite the demand for one made during its recent meeting with Chief Adviser Prof Muhammad Yunus.

7h ago