নাটোর পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালককে আদালতে তলব

নাটোর
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

গ্রাহক হয়রানির অভিযোগে নাটোরের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আলী আশরাফকে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তলব করা হয়েছে।

গতকাল রোববার আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট  মো. মোসলেম উদ্দিন এই আদেশ দেন।

ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশের বরাত দিয়ে আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আতাউল গনি ওসমানী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গত ৮ সেপ্টেম্বর রওশন আরা বেগম নামের একজন সেবাগ্রহীতা পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন করেন। তার জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মস্থান রাজশাহী লেখা আছে। কিন্তু এমআরপি (মেশিন রিডেবল) পাসপোর্টে নাটোর লেখা থাকায় তা সংশোধনের জন্য কোর্ট এফিডেভিড দিতে হবে মন্তব্য লিখে আবেদনটি ফেরত দেন সহকারী পরিচালক মো. আলী আশরাফ।

আতাউল গনির ভাষ্য, রওশন আরা বেগম ছাড়াও এমন আরও অনেক সেবাগ্রহীতাকে এফিডেভিডের জন্য পাসপোর্ট অফিস থেকে আদালতে পাঠানো হয়। কিন্তু ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুসারে তা করার প্রয়োজন নেই। রওশন আরা বেগম আদালতে এফিডেভিড করতে গেলে এই শাখার ম্যাজিস্ট্রেট মোসলেম উদ্দিনের নজরে আসে বিষয়টি।'

আদেশে ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, 'রওশন আরা বেগমের পাসপোর্ট নবায়নের দরখাস্তে সহকারী পরিচালক কোর্ট এফিডেভিট দিতে হবে মন্তব্য করলেও সার্কুলার অনুযায়ী এফিডেভিটের প্রয়োজন নাই। সেক্ষেত্রে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি করা পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সার্কুলারের সুস্পষ্ট লংঘন। এ ছাড়া দেশে পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারীদের এনআইডিতে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পাসপোর্ট প্রদান সংক্রান্ত পরিপত্র জারি আছে।

তাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর কেন নির্দেশ প্রদান করা হবে না- তা জানতে চেয়ে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সশরীরে হাজির হয়ে আলী আশরাফকে লিখিত লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়া নির্দেশ দেন মোসলেম উদ্দিন।

এ বিষয়ে নাটোর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আলী আশরাফ বলেন, 'আদালতের আদেশের কপি হাতে পেয়েছি। পাসপোর্টের জন্য কোন কোন ক্ষেত্রে এফিডেভিড করতে হয় তার ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন আদালত। আমি ব্যাখ্যা দেবো।'

তিনি আরও বলেন, 'পাসপোর্টের তথ্য পরিবর্তনের প্রমাণ হিসাবে এফিডেভিড করতে বলা হয়। অনেক সময় না বললেও সেবাগ্রহীতারা নিজেরাই এফিডেভিড করে আনেন। তবে কোনো সেবাগ্রহীতাকে হয়রানি করা হয় না।'

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

1d ago