সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তর সরবরাহের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৪

thakurgaon
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

ঠাকুরগাঁওয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে ইউনিয়ন সমাজকর্মী নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তর সরবরাহের অভিযোগে ২ শিক্ষকসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ঠাকুরগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. আতিকুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'আজ শুক্রবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রে উত্তর সরবরাহের প্রতিবাদে অন্যান্য চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করেন। পরে কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাটের আদেশে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।'

জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহারিয়ার নজির বলেন, 'ইউনিয়ন সমাজকর্মী পদে নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে সকাল সোয়া ১১টার দিকে কেন্দ্রের ১৩০ নম্বর কক্ষে ওই বিদ্যালয়ের এক পিয়ন প্রবেশ করে। এসময় তিনি এক পরীক্ষার্থীকে এমসিকিউ প্রশ্নপত্রের সমাধান সম্বলিত একটি চিরকুট দিতে গেলে ওই কক্ষের অন্যান্য পরীক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করেন। এতে ওই পিয়ন চিরকুটটি ফেলে বেরিয়ে যান।'

তিনি আরও বলেন, 'পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করলে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা সদর উপজেলার ফাড়াবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কবির ইকবাল কাগজটি তুলে টুকরো টুকরো করে বাইরে ফেলে দেন। এর কিছুক্ষণ পরেই কেন্দ্রের ২০৭ নম্বর কক্ষেও বিদ্যালয়ের এক আয়া আরেক পরীক্ষার্থীকে এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর সম্বলিত চিরকুট দিতে গেলে সেখানেও একই পরিস্থিতি হয়। এক পর্যায়ে পরীক্ষার্থীরা কক্ষ থেকে বেরিয়ে স্কুল প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ শুরু করেন।'

'এসময় আমি ও কেন্দ্র সচিব সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। পরে কেন্দ্রর তত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা অপর শিক্ষকদের নিয়ে ওই ঘটনায় জড়িত পিয়ন জহুরুল ও আয়া দিপ্তী রানীকে শনাক্ত করা হয়। টুকরো টুকরো করে বাইরে ফেলা দেওয়া কাগজটির সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের যে উত্তর, তার মিল পাওয়া গেছে। কেউ বাহিরে প্রশ্নপত্র সমাধান করে বিদ্যালয়ের পিয়নের-আয়ার দ্বারা পরীক্ষার্থীদের সরবরাহ করার চেষ্টা করেছিলো,' যোগ করেন তিনি।

এদিকে এ ঘটনার পর দিপ্তী রানী পালিয়ে গেলেও এক পরীক্ষার্থী, কেন্দ্র পরিদর্শক কবির ইকবাল, সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক আহমেদ জিব্রীল ও একই বিদ্যালয়ের পিয়ন জহুরুল ইসলামকে আটক করা হয়।

তবে ওই বিদ্যালয়ের পিয় জহুরুল ইসলাম দাবি করেন, 'আমাদের বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক কাগজটি ১০৩ নম্বর কক্ষে গিয়ে এক পরীক্ষার্থীকে দিতে বলেছিলেন। আমি সেই অনুযায়ী কাজ করেছি।'

কিন্তু, ওই শিক্ষকের নাম বলতে রাজি হননি তিনি।

ফাড়াবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও কক্ষের পরিদর্শক কবির ইকবাল বলেন, 'কাগজটি ফেলে গেলে আমি না ঝুঝেই তুলে নিয়ে ছিঁড়ে কক্ষের বাইরে ফেলে দিই। বুঝতে পারিনি যে, সেটা বহু নির্বাচনী প্রশ্নের সমাধান।'

পীরগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ওই ৪ জনসহ আরও ৪ জনের ঠাকুরগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Ocean of mourners gather to pay tribute to Khaleda Zia

People from all walks of life arrive by bus, train and other modes of transport

2h ago