বাবুল আক্তারের বাবা-ভাইয়ের জামিন

বাবুল আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানার দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পেয়েছেন সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবিরের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। পরে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।

বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাইয়ের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ সাংবাদিকদের বলেন, 'এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আগেই জামিন পেয়েছিলেন বাবুল আক্তারের বাবা ও ভাই। সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা আত্মসমর্পণ করে নতুন করে জামিনের আবেদন করেন।'

একই মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অপর আসামি প্রবাসী ইউটিউবার ইলিয়াস হোসাইনকে পলাতক দেখানো হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বাবুল আক্তারসহ অন্য আসামিরা মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার তদন্ত ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্র করছেন। এর অংশ হিসেবে ইলিয়াস হোসেনকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে 'স্ত্রী খুন স্বামী জেলে খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব' শিরোনামে ফেসবুক ও ইউটিউবে ডকুমেন্টারি ভিডিও প্রচার করেন। ভিডিওতে যে বক্তব্য আছে তাতে মাধ্যমে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে।

এর আগে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বাবুল আক্তার, তার বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু ও ইলিয়াসের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এদিকে পিবিআই হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ৬ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছিলেন বাবুল আক্তার। স্বীকারোক্তি আদায়ে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে গত ৮ সেপ্টেম্বর এই আবেদন করেছিলেন তিনি। গত ১১ সেপ্টেম্বর একই আদালতে ফেনী কারাগারে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেন বাবুল। গত ২৫ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন খারিজ করে দেন চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত।

Comments

The Daily Star  | English
Dhaka city urban development problems

Dhaka on a perilous path: Lax rules, weak oversight fuel unplanned expansion

Near-unregulated vertical expansion put immense pressure on utilities and infrastructure, worsened traffic congestion, compromised fire safety

15h ago