ওএমএসের চাল মজুদ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ, সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি

ডিলার মোহাম্মদ বাবুলের গুদাম থেকে ২০০ বস্তা ওএমএস চাল জব্দ করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে গুদাম থেকে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (ওএমএস) চাল জব্দের ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ করায় এক ডিলার এক সাংবাদিককে হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় মোহাম্মদ বাবুল নামের ওই ডিলারের বিরুদ্ধে আজ শুক্রবার ভূঞাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টডটকমের সাংবাদিক অভিজিৎ ঘোষ। 

ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাংবাদিক অভিজিতের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

সাংবাদিক অভিজিৎ ঘোষ জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভূঞাপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তামান্না রহমান জ্যোতির নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত গতকাল বৃহস্পতিবার কুঠিবয়রা এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে সরকারি চালের ডিলার মোহাম্মদ বাবুলের ধুবলিয়া এলাকার একটি গুদাম থেকে ২০০ বস্তা (প্রতি বস্তা ৩০ কেজি) চাল উদ্ধার করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে ডিলার বাবুল সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট চাল জব্দ করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় রেখে চলে আসেন। 

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না রহমান জ্যোতি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ অন্যান্যদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালাই। যেহেতু অভিযানের সময় ডিলার সেখান থেকে পালিয়েছেন, তাই আমরা ধরে নিয়েছি চালগুলো সরকারি চাল। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

অভিজিৎ ঘোষ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এই ঘটনায় সংবাদ প্রকাশের পর অজ্ঞাত স্থান থেকে ফোন করে সংবাদ প্রকাশের জন্য তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ডিলার বাবুল। এক পর্যায়ে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন তিনি।

পলাতক থাকায় এ বিষয়ে অভিযুক্ত ডিলার বাবুলের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English
Chief Adviser Yunus On Election Reforms

Govt working to deliver inclusive, credible election: Yunus

The new UN mission in Dhaka will provide technical support for reform initiatives, as well as capacity-building, says CA

1h ago