সাবেক অধ্যক্ষকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার নাহিদুজ্জামান কারাগারে

নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবু
নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবু। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে সাবেক কলেজ অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা এম ওয়াজেদ আলীকে (৬৮) হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবুকে (২৪) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় জেলা পুলিশ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন নাহিদুজ্জামান।

হত্যার কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি জানিয়ে পুলিশ সুপার জানান কী কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে সে বিষয়ে খুনির দেওয়া তথ্য তদন্ত করছে পুলিশ। হত্যায় আর কেউ জড়িত আছে কি না সেটিও তদন্ত করা হচ্ছে।

পুলিশ সুপার জানান, জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে গত ২০ জানুয়ারি হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়ে নাহিদুজ্জামান বাবু পালিয়ে ভারতে চলে যান। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলায় অবস্থান করেন। পেইড সোর্সের মাধ্যমে তাকে ভারত থেকে নিয়ে আসা হয়। রোববার রাতে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্ত থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

আসামি নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবু পাটগ্রাম উপজেলার রসুলগঞ্জ নিউ পূর্বপাড়া এলাকার আব্দুস সামাদ প্রধানের ছেলে। পেশায় স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক। তিনি নিহত এম ওয়াজেদ আলীর প্রতিষ্ঠিত কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষকতা করতেন। এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করার সময় নাহিদুজ্জামানের সঙ্গে নিহত এম ওয়াজেদ আলীর বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছিল। নাহিদুজ্জামান ক্ষিপ্ত ছিলেন এম ওয়াজেদ আলীর ওপর।

পুলিশ সুপার বলেন, তদন্তের পর খুনের কারণ ও সহযোগী সম্পর্কে তথ্য জানাতে পারব।

গত ২০ জানুয়ারি বাড়ির পাশে পাটগ্রাম উপজেলা শহরের সাহেবডাঙ্গা এলাকায় এম ওয়াজেদ আলীকে মাথায়, গলায় ও কাঁধে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। ওয়াজেদ আলীর ছেলে রিফাত হাসান নাহিদুজ্জামান প্রধান বাবুকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে পাটগ্রাম থানায় হত্যা মামলা করেন। 

Comments

The Daily Star  | English

Ivy placed on 2-day remand in murder case

Senior Judicial Magistrate Md Nour Mohsin passed the order this afternoon after police produced her before the court with a seven-day remand prayer in a case filed over the killing of garment worker Minarul Islam during the anti-discrimination student movement

9m ago