বিএসইসির তদন্ত

১৭০ কোটি টাকা পাচার করেছেন ইউএফএসের শীর্ষ কর্মকর্তারা

ছবি: সংগৃহীত

ওপেন-এন্ডেড মিউচুয়াল ফান্ড থেকে ১৭০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা পাচার করার অভিযোগে ১টি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে সেগুলো স্টক ও বন্ডের মতো সিকিউরিটিতে প্রবাহিত করে থাকে। ওপেন-এন্ডেড মিউচুয়াল ফান্ড পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত থাকে না। কিন্তু কেউ চাইলে তহবিল ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ে এসে সেগুলো বেচা-কেনা করতে পারেন।

পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা তদন্ত থেকে জানতে পেরেছে, ইউনিভার্সাল ফাইন্যানশিয়াল সলিউশনসের (ইউএফএস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হামজা আলমগীরসহ কয়েকজন কর্মকর্তা ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো এই তহবিল তছরুপ করেন।

উল্লেখিত ৪ তহবিল হচ্ছে—ইউএফএস-ব্যাংক এশিয়া ইউনিট তহবিল, ইউএফএস-আইবিবিএল শরীয়া ইউনিট তহবিল, ইউএফএস-পদ্মা লাইফ ইসলামিক ইউনিট তহবিল ও ইউএফএস-পপুলার লাইফ ইউনিট তহবিল। 
স্বল্পমেয়াদি ঋণ সিকিউরিটিতে ৫৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা বিনিয়োগ, ফিক্সড ডিপোজিটের সুদ বা লভ্যাংশ বাবদ ৪৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা সংগ্রহ ও তালিকাভুক্ত সিকিউরিটি বিক্রির পর অবৈধভাবে অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়।

এ ছাড়াও ৪ মিউচুয়াল ফান্ডের কাছ থেকে আনুমানিক ৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা বেশি চার্জ নেওয়া হয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, 'কমিটি বিস্মিত হয়েছে যে, প্রায় পুরো অর্থই বিভিন্নভাবে পাচার করা হয়েছে।'

প্রাথমিকভাবে ইউএফএস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের তহবিলের ১৫৮ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়ার পর আরও বড় আকারে অনুসন্ধানের জন্য এই কমিটি গঠন করা হয়।

বিএসইসির তদন্তে উঠে এসেছে, প্রতিষ্ঠানটির এমডি হামজা আলমগীরই অর্থপাচারের মূলহোতা। তার সইয়ের মাধ্যমেই তহবিল আত্মসাৎ হয়েছে এবং সহযোগীদের কাছে তা স্থানান্তর করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা মমিনুল হক, ব্যবস্থাপক সাকিব আল ফারুক ও তহবিল কার্যক্রমের প্রধান হাফিজুর রহমান রাজীবও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।

বিএসইসি গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তারা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ অনুযায়ী মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ ছাড়াও, নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জালিয়াতি রোধে ব্যর্থতার জন্য ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের কাস্টোডিয়ান ডিপার্টমেন্টের তৎকালীন কর্মকর্তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিএসইসির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ফাইন্যানশিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলকে এসব অনিয়ম শনাক্তে ব্যর্থতার জন্য উল্লেখিত অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের অডিটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হবে।

অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান

Comments

The Daily Star  | English
honor smartphone inside

How to build a smartphone

Smartphones feel inevitable in the hand, yet each one begins as a set of drawings, components and hypotheses. The journey from concept to finished device is a carefully sequenced collaboration between design labs, supplier networks and high-throughput assembly lines. In leading electronics hubs across Asia, that journey can take as little as days once a design is frozen and parts are on site.

3h ago