বকশীগঞ্জ

উপজেলা আ. লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানীর ওপর হামলার অভিযোগ

আহত অবস্থায় স্থানীয়দের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি হন সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম। ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহীনা বেগমের বিরুদ্ধে।

গোলাম রাব্বানি জামালপুরে অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি। তিনি বাংলানিউজের জেলা প্রতিনিধি ও একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।

গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বকশীগঞ্জ মধ্যবাজারে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার দুপুরে এ ঘটনায় বকশীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাংবাদিক নাদিম।

সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দলীয় বিশৃঙ্খলা নিয়ে তিনি একাধিক প্রতিবেদন লেখেন। এতে শাহীনা বেগম সাংবাদিক নাদিমের ওপর ক্ষিপ্ত হন।

তিনি জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি পেশাগত কাজ শেষে বাড়ি ফেরছিলেন। বকশীগঞ্জ মধ্যবাজারে এলাকায় পৌঁছালে শাহীনা বেগমের নির্দেশে যুবলীগ কর্মী শামীম, স্বপন, শেখ ফরিদ, হেলালসহ কয়েকজন নাদিমের ওপর হামলা চালায়। পরে আহত অবস্থায় স্থানীয়দের সহায়তায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।

জানতে চাইলে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা শামীম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নাদিম বিভিন্ন সময় আমাদের দলীয় লোকদের বিরুদ্ধে নিউজ করেছে, সে আমার বন্ধু মানুষ তাকে অনেক নিষেধ করেছি।'

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি এখানে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ ব্যক্তি। কিন্ত আমার বিরুদ্ধে নাদিম নানাকিছু লেখালিখি করছে।'

তবে এ ঘটনায় তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানান তিনি।

বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা বলেন, 'আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগমসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৫০ জনের বিরুদ্ধে সাংবাদিক নাদিম থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

এদিকে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের ওপর হামলার ঘটনায় জামালপুর প্রেসক্লাব ও জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত আটক দাবি করেছেন তারা।

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

2h ago