দুই বছর আইনি লড়াইয়ের পর সন্তানকে ফিরে পেলেন মা

high court
স্টার ফাইল ফটো

প্রায় দুই বছর আইনি লড়াইয়ের পর আপিল বিভাগের আদেশে সাবেক স্বামীর কাছ থেকে সন্তানকে ফিরে পেয়েছেন এক মা।

তবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশ, শিশুটির মা সাদিকা শেখ সংশ্লিষ্ট পারিবারিক আদালতের অনুমতি ছাড়া সন্তানসহ দেশত্যাগ করতে পারবেন না।

আজ সোমবার আদালত অবমাননার মামলায় সানিউরের করা জামিন আবেদনের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

শুনানিতে সাদিকার আইনজীবী ফওজিয়া করিম ফিরোজ আপিল বিভাগকে জানান, সানিউরের পরিবারের সদস্যরা আগের নির্দেশনা মেনে শিশুটিকে সাদিকার কাছে হস্তান্তর করেছেন।

আদালতে সানিউর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুন্সি মনিরুজ্জামান।

২০১৭ সালে বাংলাদেশি নাগরিক সানিউর ও ভারতীয় নাগরিক সাদিকার বিয়ে হয়। তারা ঢাকায় থাকতেন।

এক পর্যায়ে তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন।

এরমধ্যে সাদিকা শিশুটিকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন।

আইনি লড়াইয়ের ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বরের মধ্যে শিশুটিকে তার মা সাদিকার কাছে হস্তান্তর করতে সানিউর রহমানকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু সেই আদেশ মানা হয়নি।

২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর হাইকোর্ট শিশুটিকে ২১ নভেম্বর আদালতে হাজির করতে সানিউর রহমান ও পুলিশ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে সানিউরকে দেশত্যাগ না করার নির্দেশও দেওয়া হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমারের মাধ্যমে হাইকোর্টকে জানায়, গত ১৬ নভেম্বর শিশুসন্তানকে নিয়ে দেশ ত্যাগ করেন সানিউর।

এর আগে ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর তিন বছরের ছেলেকে নিয়ে দেশ ত্যাগ করায় সানিউর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

আদালত অবমাননার দায়ে ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর সানিউর রহমানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট।

আদালত অবমাননার মামলায় চলতি বছরের ২৩ অক্টোবর সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন সানিউর রহমান। নিম্ন আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

Comments

The Daily Star  | English

BNP says ‘no’ to constitutional reforms under interim govt

The BNP has said it will not support any constitutional reforms before the national election in February 2026, arguing that such changes must be made by the next parliament.

4h ago