পরাজিত প্রার্থীর ওপর বিজয়ীর হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ, বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি

প্রতিবাদ সমাবেশে ‘সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন, সিলেট’। ছবি: সংগৃহীত

সুনামগঞ্জ মধ্যনগর উপজেলায় নির্বাচন-পরবর্তী বিরোধের জেরে আইনজীবী আরিফুর রহমান ঝিনুক ও তার বাবা পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইদুর রহমানের ওপর হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে 'সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন, সিলেট।'

আজ সোমবার বিকেলে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানানো হয়।

একইসঙ্গে ওই নির্বাচনের পর পরাজিত প্রার্থীর বাড়িতে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারেরও দাবি জানানো হয়।

সাবেক ছাত্রনেতা ও প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান চৌধুরী ওয়েছের সভাপতিত্বে এবং দেবাশীষ দেবুর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে স্বাগত বক্তব্যে 'সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন, সিলেট'এর সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিম বলেন, 'নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর অনুসারীরা দলবল নিয়ে পরাজিত প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। হামলা করেই তারা করেই ক্ষান্ত হয়নি, আহতদের চিকিৎসা নিতেও বাধা দিয়েছে। এমনকি সাইদুর রহমানের স্বজনদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এলাকায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এমনকি তারা মামলাও করতে পারছে না।'

এসব ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন কিম।

সভায় আরও বক্তব্য দেন মধ্যনগর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আরেক প্রার্থী সজল কান্তি সরকার, ওই এলাকার বাসিন্দা বাদল চন্দ্র সরকার, সাংবাদিক উজ্জ্বল মেহেদী, ইমজা সভাপতি সজল ছত্রী, সাবেক সভাপতি আশরাফুল কবির, সাধারণ সম্পাদক শ্যামানন্দ দাশ, সিলেট ভয়েস'র প্রকাশক সেলিনা হোসেন চৌধুরী, পরিবেশ কর্মী রেজাউল কিবরিয়া, রুমেনা বেগম রুজি, সৈয়দ আনসার আলী, সংস্কৃতিকর্মী মাহবুব রাসেল, নাহিদ পারভেজ বাবু, বিমান তালুকদার, যুব ইউনিয়ন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান,  সাবেক ছাত্রনেতা সহিদুজ্জামান পাপলু, সপ্তর্ষি দাশ, ছাত্র ইউনিয়ন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান প্রান্তিক, ছাত্রফ্রন্ট সিলেটের সাধারণ সম্পাদক বুশরা সুহেল, কবি মেঘদাদ মেঘ।

সাংবাদিকদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজিব রাসেল, ইয়াহইয়া মারুফ, বাপ্পা মৈত্র, মামুন হোসেন, আহমেদ জামিল, শাকিলা ববি, নাবিল হোসেন, নয়ন নিমু, আশরাফ আহমদ।

এদিকে মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, 'ঘটনার পর থেকে গ্রামে পুলিশ মোতায়েন আছ। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা চলছে।'

হয়রানির অভিযোগ প্রসঙ্গে ওসি বলেন, 'এসব অপপ্রচার। কোনো ভিত্তি নেই। আমি আহত সাইদুর রহমানকে নৌকা করে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছি। অন্য কেউ মামলা করতে চাইলে সেটিও আমরা নেব।'

 

Comments

The Daily Star  | English

USTR yet to give date for final tariff talks

The Trump administration is scheduled to apply the new tariff rates for the countries concerned from August 1.

10h ago