ত্বকী হত্যা: আজমেরী ওসমানের ‘আত্মীয়’ মামুন গ্রেপ্তার

মঙ্গলবার ভোরে সিদ্ধিরগঞ্জে একটি বাস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা মামলায় আরেকজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। 

গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে জামাই মামুন (৪০) ত্বকী হত্যা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত আজমেরী ওসমানের আত্মীয় বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

মঙ্গলবার ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের চিটাগাং রোড এলাকায় একটি বাস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আজমেরী ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জাতীয় পার্টির প্রয়াত সংসদ সদস্য একেএম নাসিম ওসমানের ছেলে এবং নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের ভাতিজা।

২০১৩ সালে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করা হয় ত্বকীকে। এরপর তার মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।

২০১৪ সালে মার্চে ত্বকী হত্যা মামলায় র‌্যাবের ফাঁস হওয়া একটি তদন্ত প্রতিবেদনে আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে তার ব্যক্তিগত কার্যালয় 'উইনার ফ্যাশন' নামে 'টর্চার সেলে' নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যার উল্লেখ আছে। হত্যাকাণ্ডে ১১ জনের সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করা হয় যাদের মধ্যে মামুনের নামও আছে। তাকে ওই প্রতিবেদনে আজমেরী ওসমানের খালাতো বোনের জামাই বলে উল্লেখ করা হয়।

আজ বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানায়, ত্বকী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার একাধিক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা জবানবন্দিতে এই হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার মামুনের সম্পৃক্ততার কথা জানিয়েছেন। তবে, দীর্ঘদিন তিনি ঢাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। মঙ্গলবার ভোরে ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি যাওয়ার পথে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানিয়ে আদালতে হাজির করে র‍্যাব। 
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আদালত মামুনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং রিমান্ড শুনানির জন্য আগামী ৬ অক্টোবর তারিখ নির্ধারণ করেন।

২০১৩ সালের ৬ মার্চ শহরের শায়েস্তা খাঁ সড়কের বাসা থেকে বেরিয়ে স্থানীয় একটি পাঠাগারে যাওয়ার পথে অপহরণ করা হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীকে। ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

Comments