বাসা থেকে ডেকে নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে গুলি করে হত্যা

নিহত মামুন হোসাইন। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে৷

আজ শুক্রবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে পূর্ব লালপুর এলাকায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম৷

নিহত মামুন হোসাইন ওই এলাকার প্রয়াত সমন আলীর ছেলে৷

৪০ বছর বয়সী মামুন ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং লালপুর এলাকায় রড, সিমেন্ট, বালুর ব্যবসা রয়েছে তার৷

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, তাকে ভোরে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে৷

সিসিটিভি ফুটেজে ঘটনার সাথে জড়িত হুডি-জ্যাকেট পরিহিত দুই যুবককে দেখা গেছে৷ তাদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান ওসি শরীফুল৷

পরিবারের সদস্যদের বরাতে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গভীর রাত পর্যন্ত বাসার অদূরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছিলেন নিহত মামুন হোসাইন৷ কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর অজ্ঞাত কেউ তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়৷ এর কিছুক্ষণ পরই তাকে গুলি করার খবর পান স্বজনরা৷

গুলিবিদ্ধ মামুনকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন৷

নিহতের বড়ভাই আমজাদ হোসেন বলেন, 'রাতে ফিরে ভোরের দিকে মামুন বাসায় ঘুমাচ্ছিল৷ তাকে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। কারা তাকে ডেকে নিয়ে গেছে সেটা এখনো জানতে পারিনি৷'

আমজাদ হোসেন আরও বলেন, 'মামুনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে আজাদ নামে এক ছেলে ঘুমায়৷ গুলির শব্দ শুনে সে বেরিয়ে আসলে মামুনের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে।'

স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার পরিবারের সাথে মামুনের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ছিল বলেও জানান আমজাদ। হত্যাকাণ্ডের পেছনে ওই দ্বন্দ্ব কাজ করতে পারে বলেও ধারণা তার।

ফতুল্লা থানার ওসি শরীফুল বলেন, 'হত্যার কারণ সম্পর্কে এখনও সুনির্দিষ্ট করে কিছু জানা যায়নি৷ তবে হুডি-জ্যাকেট পরা দুই ব্যক্তি সিসিটিভি ফুটেজে স্পটেড হয়েছেন, তাদের শনাক্ত করতে কাজ করছে পুলিশ৷'

এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হবে বলেও জানান তিনি৷

Comments

The Daily Star  | English

NBR activities disrupted as officials continue work abstention

This marks the ninth day of protests since the interim government issued the ordinance on May 12

1h ago