সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে ফারজানা রুপাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পিবিআই

ফারজানা রুপা। ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা সাংবাদিক ফারজানা রুপাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পিবিআইয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম এ আদেশ দিয়েছেন।

গত ৪ মার্চ পিবিআইকে আদালত এ অনুমতি দিয়েছেন বলে আদালতের এক কর্মী আজ মঙ্গলবার দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

পিবিআইয়ের আবেদনে বলা হয়, 'হত্যাকাণ্ডের সময় ফারজানা রুপা এটিএন বাংলায় প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মেহেরুন রুনির সঙ্গে তার পারিবারিক ঘনিষ্ঠতা এবং নিবির যোগাযোগ ছিল। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে রূপা টেলিভিশনে কিছু প্রতিবেদনও করেছিলেন।'

'যদি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তাহলে হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন,' আবেদনে বলা হয়। 

গত ২ মার্চ আদালত সাগর-রুনির বাসার তৎকালীন নিরাপত্তাকর্মী পলাশ রুদ্র পালকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

পিবিআই সূত্রে জানা গেছে, তদন্তকারীরা মেজর জেনারেল (বরখাস্ত) জিয়াউল আহসান, পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মশিউর রহমান, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক নৌবাহিনী কর্মকর্তা রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহেল এবং জোড়া খুনের মামলার আসামি হুমায়ুন কবিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা বিভিন্ন মামলায় রুপা, জিয়াউল, মশিউর, মানিক এবং সোহেল এখন কারাগারে।

আদালতের এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, তদন্ত কর্মকর্তা পিআইবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক ২ মার্চ প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ১৫ এপ্রিল তারিখ নির্ধারণ করেছেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে ভাড়া ফ্ল্যাটে সাগর ও রুনিকে হত্যা করা হয়। সাগর সেসময় মাছরাঙা টিভির বার্তা সম্পাদক ছিলেন এবং তার স্ত্রী মেহেরুন রুনি এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার ছিলেন। তাদের একমাত্র সন্তান মাহির সরোয়ার মেঘের বয়স তখন ছিল মাত্র পাঁচ বছর।

হত্যাকাণ্ডের পর আট সন্দেহভাজন কামরুল ইসলাম ওরফে অরুণ, আবু সাঈদ, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, পলাশ রুদ্র পাল, আনামুল হক ওরফে হুমায়ুন কবির এবং তানভীর রহমান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তানভীর ও পলাশ এখন কারামুক্ত, বাকিরা কারাগারে।

মামলা দায়েরের পর শেরেবাংলা নগর থানাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিন দিন পর ১৬ ফেব্রুয়ারি ডিবির কাছে মামলা হস্তান্তর করা হয়।

২০১২ সালের এপ্রিলে মামলাটি র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তারা গত বছরের ৩ নভেম্বর পর্যন্ত তদন্ত পরিচালনা করে।

গত বছরের ৪ নভেম্বর হাইকোর্টের নির্দেশে পিআইবি মামলার তদন্তের দায়িত্ব গ্রহণ করে। গত বছরের ২৩ অক্টোবর মামলাটি তদন্তের জন্য চার সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়, যেখানে পিবিআই প্রধানকে আহ্বায়ক করা হয়।

তদন্ত শেষ করে ছয় মাসের মধ্যে টাস্কফোর্সকে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
Yunus, Charter, and Our Future

Yunus, Charter, and Our Future

Can the vision for 'New Bangladesh' ignore the poor, farmers, workers, youth, women, or employment and climate crises?

3h ago