পটুয়াখালীতে ঈদগাহে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৫

আহতদের মধ্যে তিনজনকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর গলাচিপায় ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে জিলাপির টাকার হিসাবকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। 

গতকাল রোববার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের লামনা গ্রামের কায়সার আলী সিকদার বাড়ি জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিদের মধ্যে জিলাপি বিতরণের পর টাকার হিসাব নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয় এবং পরে সংঘর্ষে গড়ায়। দুই পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়, এতে অন্তত পাঁচজন আহত হন।

আহতরা হলেন- মো. রাসেল, আব্দুর রহমান, মো. রাজ্জাক, ফাতিমা ও জাহিদুল ইসলাম। তারা সবাই লামনা গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে তিনজনকে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে, বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আহত আব্দুর রহমান বলেন, 'মসজিদের প্রতিষ্ঠাতার নাম নিয়ে পূর্ব থেকেই বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জের ধরে দুলাল সিকদার, আলামিন সিকদার ও ফিরোজ সিকদারের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় আমরা গলাচিপা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।'

তিনি আরও বলেন, 'ঈদের আগের রাতে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ঈদের নামাজের আগত মুসল্লিদের আপ্যায়নের জন্য ১৫ কেজি জিলাপি কেনা হবে। কিন্তু নামাজ শেষে জিলাপির টাকার হিসাব করার জন্য আমাদের বসতে বলা হয়। মুসল্লিরা চলে যাওয়ার পরই তারা অতর্কিত হামলা চালায়।'

মসজিদ কমিটির সভাপতি সুলতান সিকদার বলেন, 'আমি বর্তমানে এলাকায় নেই। তবে বিষয়টি শুনেছি। বাড়িতে এসে বিস্তারিত জানার পর এ নিয়ে আলোচনায় বসব।'

এ বিষয়ে গলাচিপা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন হাওলাদার জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

Comments

The Daily Star  | English

BNP sticks to demand for polls by December

In a meeting with Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night, the BNP restated its demands that the next general election be held by December and the government immediately announce a roadmap to that end.

6h ago