বগুড়ায় আদালতের হাজতখানায় আ. লীগ নেতাকে মারধর

সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান শফিককে আজ আদালতে আনা হয়। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ায় আদালতের হাজতখানায় সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান শফিককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় এ ঘটনা ঘটে।

বগুড়ার আদালত পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, 'সামান্য ঘটনা' নিয়ে হাজতখানায় থাকা অপর চার আসামি আবু সুফিয়ানের ওপর চড়াও হন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুরে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে শুনানির জন্য অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হয়। 

শুনানির পর তাকে হাজতখানায় রাখা হয়। সেখানে আগে থেকেই আরও চার আসামিকে রাখা হয়েছিল।

তারা হলেন, হত্যা মামলার আসামি সাগর, জলিল, সাব্বির এবং মাদক মামলার আসামি কালাম।

আদালত পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কালাম ও আবু সুফিয়ান একসঙ্গে আদালতের টয়লেটে যান। সুফিয়ানের হাত থেকে কয়েক ফোঁটা পানি কালামের গায়ে লাগে। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় এবং একপর্যায়ে জলিল, কালাম ও সাব্বির আওয়ামী লীগ নেতা সুফিয়ানের ওপর চড়াও হয়, তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়।'

'পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং সুফিয়ানকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেয়,' বলেন তিনি।

তবে আদালত প্রাঙ্গণে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় আবু সুফিয়ান শফিক অভিযোগ করে বলেন, 'পুলিশ পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেনের নির্দেশে আমার ওপর আক্রমণ করা হয়। আমি বাথরুমে আশ্রয় নেওয়ার পরও তারা আমাকে মারধর করতে থাকে।'

'পুলিশ হেফাজতে আমি কোনো নিরাপত্তা পাইনি। হামলার পর, চিকিৎসার পরিবর্তে, তারা তাড়াহুড়ো করে আমাকে কারাগারে ফেরত পাঠায়,' বলেন তিনি।

এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। আমি কেন টয়লেটে গিয়ে মারধরের নির্দেশ দেবো?'

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

5h ago