বাসায় হামলা চালিয়ে সাংবাদিককে অপহরণ, যৌথবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার

নোয়াখালী
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নোয়াখালীর চাটখিলে এক সাংবাদিকের বাসায় হামলা চালিয়ে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। 

সন্ত্রাসী হামলার পর ওই সাংবাদিককে অপহরণ করা হয়। পরে যৌথবাহিনীর অভিযানে তাকে উদ্ধার করা হয়।

চাটখিল পৌরসভার বদলকোর্ট সড়কে ওই সাংবাদিকের বাসায় রোববার রাতে ৮টার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে।

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। 

তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী রাতে অভিযান চালিয়ে ওই সাংবাদিককে উদ্ধার করে।  

ভুক্তভোগী খালেদ হোসেন জুয়েল (৩৮) দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার চাটখিল উপজেলা প্রতিনিধি। 

তার অভিযোগ, রামনারায়নপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সস্পাদক মনির হোসেনের নেতৃত্বে হামলা ও অপহরণ করা হয়। 

তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রামনারায়নপুর ইউনিয়ন যুবদল সাধারণ সম্পাদক ও চাটখিল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দল সদস্য মোর্শেদ আলম দীর্ঘদিন ধরে আমার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। না দেওয়ায় তারা আমাকে হুমকিও দিয়েছিলেন। এ ঘটনার জেরে তারা রোববার রাতে আমার বাসায় সন্ত্রাসী হামলা চালায়।'

তার দাবি, হামলাকারীরা ঘরে ঢুকেই তাকে মারধর করে ঘরে থাকা টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন লুট করে এবং অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, 'অপহরণের খবর পেয়ে যৌথবাহিনী রামনারায়নপুর ইউনিয়নে অভিযান চালায়। সেসময় সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে আমি সোনাইমুড়ী সেনা ক্যাম্পে গিয়ে আশ্রয় নেই।'

অভিযোগের বিষয়ে জানতে যুবদল নেতা মনির হোসেনকে ফোন করা হলে, ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
 
জানতে চাইলে চাটখিল উপজেলা যুবদল সভাপতি জহির উদ্দিন বাবর ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাংবাদিক জুয়েল বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রামনারায়নপুর ইউনিয়ন ও খিলপাড়া এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে তাকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনার সঙ্গে যুবদলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।'

ওসি মো. ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, 'অপহরণের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

5h ago