এস আলম ও পরিবারের নামে আরও ৯ হাজার কাঠা সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

এস আলমের সম্পদ জব্দ
ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম, তার পরিবারের সদস্য ও তাদের সুবিধাভোগীদের নামে ৯ হাজার ৬৪৬ কাঠা স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এসব সম্পত্তির বাজার মূল্য ৪০৭ কোটি ২১ লাখ টাকা বলে জানা গেছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই সম্পদ বাজেয়াপ্তের আদেশ দেন।

দুদক উপপরিচালক তাহাসিনা মুনাবিল হক এ বিষয়ে আদালতে আবেদন জমা দেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আদালতে শুনানি করেন।

এর আগে, গত ৯ এপ্রিল একই আদালত সাইফুল আলম, পরিবারের সদস্য ও তাদের সুবিধাভোগীদের নামে প্রায় ৮ হাজার কাঠা স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন।

আজকের আবেদনে বলা হয়, এস আলম ও পরিবারের সদস্যরা যেকোনো সময় তাদের সম্পত্তি অন্যত্র স্থানান্তর করতে পারেন বলে দুদক কর্মকর্তারা জানতে পেরেছেন।

১৭ এপ্রিল একই আদালত এস আলম, পরিবারের সদস্য ও সুবিধাভোগীদের নামে ১ হাজার ৩৬০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দেন।

এস আলম ও অন্যরা এই অ্যাকাউন্টগুলোতে মোট ২ হাজার ৬১৯ কোটি ৭ লাখ ১৬ হাজার টাকা জমা করেছিলেন।

২৩ ফেব্রুয়ারি এস আলম ও পরিবারের ২২৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।

এস আলম ও পরিবারের সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশে ১ বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে ১২ ফেব্রুয়ারি আদালত তাদের নামে ৪২টি কোম্পানির ৪৩৭ কোটি ৮৫ লাখ শেয়ার জব্দের আদেশ দেন। এসব শেয়ারের মোট মূল্য ৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা।

এর আগে, ৩০ জানুয়ারি আদালত তাদের ৩৬৮ কোটি টাকা মূল্যের ৫৮ একর স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন।

১৬ জানুয়ারি আদালত এস আলম ও পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ৩৫০ কোটি টাকা মূল্যের ২৪ কোম্পানির ৩২ কোটির বেশি শেয়ার জব্দের নির্দেশ দেন।

১৪ জানুয়ারি একই আদালত এই পরিবারের সদস্যদের নামে ২০০ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার এবং পরিবারের ১৬ সদস্যের ৮৭ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দেন।

 

Comments

The Daily Star  | English
Foreign banks profits vs social spending in Bangladesh

Foreign banks top profits, trail in social spending

CSR spending by multinational lenders was just 0.56% last year, compared with 9% by Islamic banks

12h ago