বাহুবলে ১৬ মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা

হবিগঞ্জের বাহুবলে চুরি-ডাকাতির ১৬ মামলার এক আসামিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার নোয়াগাঁও এলাকার একটি ধানখেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ব্যক্তির নাম জামাল মিয়া (৩৫)। তিনি ওই গ্রামেরই আবদুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে নোয়াগাঁও এলাকার একটি ধানখেতে জামালের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে বাহুবল মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি উদ্ধার করে।
বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুর রহমান বলেন, 'এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জামালের সঙ্গে একটি প্রতিপক্ষ গোষ্ঠীর পুরোনো বিরোধ ছিল। এর জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।' তিনি জানান, নিহতের বিরুদ্ধে বাহুবল থানাতেই ডাকাতি, দস্যুতা ও চুরির অভিযোগে ১৬টি মামলা রয়েছে। দেশের অন্যান্য থানাতেও তার বিরুদ্ধে মামলা থাকতে পারে।
তদন্তের প্রাথমিক তথ্যের বরাত দিয়ে ওসি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় প্রতিপক্ষের লোকজন জামালকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ধানখেতে ফেলে যায়।
নিহতের স্ত্রী জানান, 'ভোররাতে দুই-তিনজন লোক ফোনে ডেকে আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। সকালে আমরা বাড়ির পাশের ধানখেতে তার লাশ পড়ে থাকার খবর পাই।'
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিবলু মিয়া (১৯) নামের এক তরুণকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আফরুজ আলী। আটক শিবলু একই গ্রামের রেনু মিয়ার ছেলে।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Comments