প্লট দুর্নীতি: সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক গ্রেপ্তার

ক্ষমতার অপব্যবহার ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ১০ কাঠা জমি অধিগ্রহণের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আজ বুধবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইব্রাহিম মিয়া এই আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আদালত এ বি এম খায়রুল হকের আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহীনের করা জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।
গত ৪ আগস্ট খায়রুল হক এবং রাজউকের সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
অভিযোগ আছে ঢাকার নায়েম রোডে প্রায় ১৮ কাঠা জমির উপর ছয় তলা বাসার মালিক খায়রুল হক, ঢাকা উন্নয়ন ট্রাস্ট (ভূমি বরাদ্দ) বিধিমালা, ১৯৬৯ এর বিধি ১৩ লঙ্ঘন করেছেন।
রাজউকের কাছ থেকে প্লটটি নিশ্চিত করার জন্য তার বিরুদ্ধে মিথ্যা হলফনামা দাখিল এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। মামলার বিবরণী অনুসারে, খায়রুল হক রাজউকের কর্মকর্তাদের সরাসরি সহায়তায় অস্থায়ী বরাদ্দপত্রের শর্ত লঙ্ঘন করেছেন।
দুদক জানায়, যদিও নিয়মে সুদ মওকুফের সুযোগ নেই, তবে তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন। অবসর গ্রহণের পাঁচ বছর পরে কোনো সুদ ছাড়াই অর্থ পরিশোধ করেন।
দুদকের অনুমান, ৪ লাখ ৭৪ হাজার টাকার সুদ ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নুরুল হুদা, সদস্য (অর্থ ও সম্পত্তি) এ আই এম গোলাম কিবরিয়া, সদস্য মো. আবু বক্কর সিকদার, সদস্য (পরিকল্পনা) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সিকদার, সদস্য (এস্টেট) আখতার হোসেন ভূঁইয়া, সাবেক যুগ্ম সচিব ও সদস্য (উন্নয়ন) এম মাহবুবুল আলম; এবং সদস্য (প্রশাসন ও ভূমি) নাজমুল হাই।
তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ জমি বরাদ্দে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে।
গত ২৪ জুলাই, পুলিশের গোয়েন্দা শাখার একটি দল ঢাকার ধানমন্ডির একটি বাড়ি থেকে খায়রুলকে হককে আটক করে।
Comments