মানবতাবিরোধী অপরাধ: শিগগির অভিযোগ গঠন হতে পারে ৪ আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে আওয়ামী লীগের চার জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে শিগগির আনুষ্ঠানিকভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন।
তারা হলেন—সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক; ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান; আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুবুল আলম হানিফ এবং সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা এই চারজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রায় শেষ করেছে এবং প্রধান প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক সেই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে জানান প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। মিজানুল অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদায় তার দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রসিকিউটর মিজানুল জানান, তারা পলকের জন্য পৃথক প্রতিবেদন জমা দিতে পারেন। কুষ্টিয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে ওই জেলায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারেন হানিফ।
তথ্যপ্রমাণের ওপর ভিত্তি করে প্রসিকিউশন পরে সিদ্ধান্ত নেবে যে, আনিসুল ও সালমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ যৌথভাবে আনা হবে নাকি পৃথকভাবে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যে ৪৫ জন তদন্তাধীন, তাদের মধ্যেও এই চারজন রয়েছেন। এই ৪৫ জনের মধ্যে অন্তত ১৯ জন শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব—যাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, ওবায়দুল কাদের, শাহজাহান খান, কামরুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফারুক খান, আব্দুর রাজ্জাক, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী ও দীপু মনি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর আইসিটি-২ আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি পৃথক মামলায় অভিযুক্ত করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রসিকিউটর বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের অন্তত আরও ২০টি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন সম্পূর্ণ করার লক্ষ্র নির্ধারণ করেছে প্রসিকিউশন। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি গুম সম্পর্কিত।
Comments