নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মাদ্রাসায় ঘুমন্ত ছাত্রকে হত্যা, সহপাঠী আটক
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে একটি মাদ্রাসায় ঘুমের মধ্যেই এক ছাত্রকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার সকালে সোনাইমুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গতরাত আড়াইটার দিকে উপজেলার সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে একটি মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ১৩ বছরের ছাত্রের বাড়ি সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামে। আর অভিযুক্ত ১৬ বছরের কিশোরের বাড়ি ময়মনসিংহের টেঙ্গাপাড়া গ্রামে। পুলিশ ভোর ৪টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুজনই ওই মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষার্থী। ১০-১৫ দিন আগে টুপি পরা নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে মাদ্রাসার একজন শিক্ষক বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।
প্রতিদিনের মতো রোববার রাতে মাদ্রাসার আবাসিক কক্ষে ১৪ জন ছাত্র ও একজন শিক্ষক ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আড়াইটার দিকে অন্য ছাত্রদের অগোচরে ঘুমের মধ্যেই হত্যার ঘটনাটি ঘটে। এ সময় ভিকটিমের গোঙানির শব্দ শুনে একই কক্ষে থাকা ছাত্র-শিক্ষক ঘুম থেকে জেগে ওঠেন এবং ঘটনা দেখতে পান।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, খবর পেয়ে ভোররাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। অভিযুক্ত ছাত্রকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, টুপি পরা নিয়ে বিরোধের জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।


Comments