ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহে আগুন: ধর্ম অবমাননার প্রমাণ পায়নি র্যাব
ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে দিপু চন্দ্র দাস (২৭) নামে এক সনাতন ধর্মাবলম্বী যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহে আগুন দেওয়ার ঘটনায় 'ধর্ম অবমাননা'র কোনো প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ কোম্পানি কমান্ডার মো. সামসুজ্জামান জানান, নিহত ব্যক্তি ধর্ম অবমাননা করে ফেসবুকে কিছু লিখেছেন, এমন তথ্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয় লোকজন ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেও এমন কিছু পাওয়া যায়নি।
সামসুজ্জামান বলেন, 'সবাই এখন বলছেন, তারা তাকে (নিহত শ্রমিক) এমন কিছু বলতে নিজেরা শোনেননি। কেউ নিজে শুনেছেন বা দেখেছেন (ধর্ম অবমাননার বিষয়ে) এমন কাউকে পাওয়া যায়নি।'
তিনি আরও বলেন, 'পরিস্থিতি যখন টালমাটাল হয়ে ওঠে, তখন কারখানা রক্ষায় তাকে জোর করে বের করে দেওয়া হয়। পরে দাঙ্গা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাতসহ তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরবর্তীতে মরদেহ জামিরদিয়া স্কয়ার মাস্টারবাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের আইল্যান্ডের গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।'
ভিডিওটি বিশ্লেষণ সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে জানান, ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন।
শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতিতে জানায়, বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. লিমন সরকার, মো. তারেক হোসেন, মো. মানিক মিয়া, এরশাদ আলী, নিজুম উদ্দিন, আলমগীর হোসেন ও মো. মিরাজ হোসেন আকন।
শনিবার ভোরে পৃথক অভিযানে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন—আজমল হাসান সাগির (২৬), মো. শাহীন মিয়া (১৯) ও মো. নাজমুল (২১)।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আব্দুল্লাহ আল মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গ্রেপ্তার ১০ জনকে ভালুকা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Comments