কেরাণীগঞ্জে মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের পর রাসায়নিক ও ককটেল সদৃশ বস্তু জব্দ, আটক ৩
ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের একটি মাদ্রাসা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ভবনের দুটি কক্ষের দেয়াল ও ছাদের কিছু অংশ বিধ্বস্ত হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে হাসনাবাদ হাউজিং এলাকায় উম্মাল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা ভবনের ওই বিস্ফোরণে দুই শিশু আহত হয়েছে।
আজ শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের ওই ঘটনার বিস্তারিত জানান।
পুলিশ জানায়, ২০২২ সাল থেকে বাগেরহাটের জনৈক শেখ আল আমিন (৩২) ওই ভবনের দুটি কক্ষে মাদ্রাসা পরিচালনা করতেন। মাদ্রাসায় ২৫-৩০ জন শিক্ষার্থী ছিল।
বিস্ফোরণে আল আমিন ও তার স্ত্রী আছিয়ার দুই শিশু সন্তান আহত হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের প্রথমে স্থানীয় আদ-দ্বীন হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এসপি মিজানুর রহমান বলেন, 'গতকাল বিস্ফোরণের পর পুলিশ সেখানে গিয়ে রাসায়নিক দ্রব্য, ৪টি ককটেল সদৃশ বস্তু, একটি ল্যাপটপ ও দুটি মনিটর জব্দ করে।'
সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ও অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এ ঘটনায় আল আমিনের স্ত্রী আছিয়া, আছিয়ার বড় ভাইয়ের স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার ও আসমানী খাতুন ওরফে আসমাকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার বলেন, 'ধ্বংসস্তূপ থেকে ৪০০ লিটারের মতো হাইড্রোজেন-পার-অক্সাইড জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া গেছে। ধারণা করা যায় তারা রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে কিছু একটা করছিল। কোথা থেকে এসব আনা হয়েছে, কী করা হচ্ছিল—পরিবারের লোকজনের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।'
'আল আমিন এখন পলাতক আছেন, তার বিরুদ্ধে আশপাশের থানায় একাধিক মামলা আছে। ২০২৩ সাল থেকে তিনি জামিনে আছেন। এখানে মুফতি হারুন নামে একজনের কথা এসেছে যিনি আছিয়ার ভাই। তিনি মাদ্রাসার একজন পরিচালক বলে আমরা জেনেছি। তিনি বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন,' বলেন তিনি।
এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং জব্দতালিকা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
যোগাযোগ করা হলে ভবনের মালিক পারভিন বেগম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '২০২২ সালের এপ্রিলে আমি বাসাটি ভাড়া দেই হারুনের কাছে। তারপর থেকে তারা সেখানে মাদ্রাসা পরিচালনা করছিল। আমাকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দিত আল আমিন।'


Comments