আড়াইহাজার

ব্যালট বাক্স ভাঙচুর, পুলিশের লাঠিচার্জ-রাবার বুলেট, জাপা প্রার্থীর ভোট বর্জন

কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ব্যালট বাক্স ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে আড়াইহাজারের ৫৬ নং রামচন্দ্রদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে। এ ঘটনায় দুটি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ করা হয়। ছবি: স্টার

কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ব্যালট বাক্স ভাঙচুরের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের দুটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সকালে দুটি কেন্দ্রে গোলযোগের সৃষ্টি হওয়ায় ভোট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

আড়াইহাজারের ৫৬ নং রামচন্দ্রদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নারী ও পুরুষ দুটি ভোটকেন্দ্রই বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সমর্থকেরা কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সামনে ব্যালট বাক্স ভাঙচুর দেওয়ার কারণে ওই কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হয়েছে।

সকাল ১০টার দিকে সাময়িক বন্ধ পরবর্তীতে ১১টার দিকে কেন্দ্র দুটি পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ব্যালট বাক্স ভাঙচুরের ঘটনায় দুটি ভোটকেন্দ্রে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ১৩ জনকে আটক করেছে। ছবি: স্টার

জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলাকারীদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেটও ছোড়া হয়৷ এ ঘটনায় পুলিশ ১৩ জনকে আটক করেছে।

আটকদের মধ্যে জাপা প্রার্থী আলমগীর সিকদার লোটনের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর সিকদার ঝোটনও রয়েছে বলে জানান এসপি৷

এদিকে, জাপা প্রার্থী লোটন অভিযোগ করেন, সকাল ১০টার দিকে তারা জানতে পারেন নৌকা ও ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা একজোট হয়ে নৌকার পক্ষে ব্যালটে সিল মারছেন। জাপার সমর্থকেরা এখানে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তখন পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ ও ছররা গুলি করে। এতে তাদের দুই সমর্থক আহত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

তবে আহতদের পরিচয় তিনি জানাননি।

এদিকে, বেলা এগারোটার দিকে রামচন্দ্রদী বাজারে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।

তার অভিযোগ, 'নৌকার পক্ষে ব্যালটে সিল দিলেও প্রশাসনের নির্বিকার ভূমিকা পালন করেছে। আমরা প্রতিবাদ জানালে পুলিশ আমাদের লাঠিপেটা করে এবং গুলি ছোড়ে৷ এখন ভোটের কোনো সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। আমি এ ভোট বর্জন করলাম।'

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

2h ago