চট্টগ্রাম-৬

পাঁচ বছরে নৌকার ফজলে করিমের আয় বেড়ে দ্বিগুণ, সম্পদও বাড়তি

এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে ২০০১ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মনোনয়নে টানা চার বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর আয় গত পাঁচ বছরে বেড়েছে দ্বিগুণ; বেড়েছে অস্থাবর সম্পদও।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।

হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০১৮ সালে ফজলে করিমের বার্ষিক আয় ছিল এক কোটি ছয় লাখ ৯৭ হাজার ৪৭২ টাকা। পাঁচ বছর পর ২০২৩ সালে তার বার্ষিক আয় বেড়ে দুই কোটি ৩২ লাখ ৩৮ হাজার টাকায় পৌঁছেছে।

এই পাঁচ বছরে আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অস্থায়ী সম্পদও বেড়েছে ফজলে করিমের। ২০১৮ সালে তার অস্থায়ী সম্পদ ছিল তিন কোটি ৬৭ লাখ ২৭ হাজার টাকার। ২০২৩ সালে তা বেড়ে চার কোটি ৪৯ লাখ ৫২ হাজার টাকা হয়েছে।

পাশাপাশি পাঁচ বছর আগে তিনি কৃষিখাত থেকে আয় করতেন ২৫ হাজার টাকা। ২০২৩ সালে একই খাত থেকে তার আয় বেড়েছে পাঁচগুণ বেড়ে হয়েছে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা।

হলফনামার তথ্য বলছে, ফজলে করিম ২০১৮ সালে ব্যবসা থেকে আয় করতেন ৫৬ লাখ ১৯ হাজার টাকা। ২০২৩ সালে তা প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে হয়েছে এক কোটি ১১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।

২০১৮ সালে রাউজান মৎস্য খামার থেকে ফজলে করিমের আয় ছিল নয় লাখ ৯৮ হাজার টাকা। এখন রাউজান মৎস্য খামার ও রাউজান ডেইরি ফার্ম থেকে তিনি বছরে আয় করেন ৯৫ লাখ টাকা।

পাঁচ বছর আগে ফজলে করিমের কাছে নগদ ছিল ৫০ হাজার টাকা এবং ব্যাংকে জমা ছিল এক কোটি ৮৬ লাখ ১১ হাজার টাকা। বর্তমানে তার কাছে নগদ দুই লাখ টাকার পাশাপাশি ব্যাংকে জমা আছে দুই কোটি ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। আছে দুই লাখ ২০ হাজার টাকার সঞ্চয়পত্র আর ২০ লাখ টাকার স্থায়ী আমানত।

এই পাঁচ বছরে ফজলে করিমের কাছে থাকা তিন লাখ ৫০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রি বেড়ে আট লাখ ৫০ হাজার টাকার হয়েছে। আসবাবপত্রের পরিমাণও বেড়েছে একই হারে।

হলফনামা অনুসারে ফজলে করিমের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর। নিজের সংসদীয় এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন শতভাগ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, সেতু-মসজিদ-মন্দির-কেয়াং ও মাদরাসা নির্মাণ এবং বিদ্যালয় ও কলেজ ভবন সংস্কার ও পল্লী বিদ্যুতায়নের কাজ করেছেন তিনি।

ফজলে করিমের ভাষ্য, ১৯৮৪ সাল থেকে আয়কর দিয়ে আসছেন তিনি। নিজের আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির প্রসঙ্গে তার বক্তব্য, 'পাঁচ বছরে যদি আমার এক কোটি টাকার সম্পদ বাড়ে, তাহলে বছরে কত টাকার সম্পদ বাড়ল? ব্যবসার আয় ছাড়া কেবল সংসদ সদস্য হিসেবে আমি প্রতিমাসে এক লাখ ৭১ হাজার টাকা সম্মানী পাই।'

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

7h ago