প্রার্থীদের হলফনামা তদন্তসহ ইসির কাছে ৯ দাবি এনসিপির

এনসিপির নেতারা আজ সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন। ছবি: স্টার

সশরীরে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া, প্রার্থীদের হলফনামা তদন্তসহ অন্তত ৯টি দাবি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে তুলে ধরেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি—এনসিপি।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী এ কথা জানান। 

দুই ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে নির্বাচন কমিশন, আইন সংস্কার, নিবন্ধনের সময়সীমা ও নির্বাচনকেন্দ্রিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে এনিসিপি প্রতিনিধিরা।

বৈঠক বিষয়ে নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, 'আওয়ামী লীগ পুরো দেশ এবং প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ফ্যাসিস্ট কাঠামোতে নিয়ে গিয়েছিল। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল। এর দায় নির্বাচন কমিশনেরও।' 

'বিগত তিন নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা এর সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের সঠিক প্রক্রিয়ায় তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে যেন ভবিষ্যতে কোনো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি কোনো দলের পক্ষে না যেতে পারে,' বলেন তিনি। 

এনসিপির এই নেতা জানান, তারা সিইসির কাছে নয়টি দাবি তুলে ধরেছেন। এগুলো হলো—মনোনয়নপত্র জমা দিতে সশরীরে যাওয়ার বিধান, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইসি থেকে নির্বাচনের সার্টিফিকেশন দেওয়া, প্রার্থীদের হলফনামা তদন্ত করে তার সত্যতা নিরূপণ করা, নির্বাচনী সহিংসতা রোধে আচরণবিধি ও ব্যয়ের বিধিতে পরিবর্তন আনা, ঋণখেলাপিদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া বন্ধ করা, হলফনামায় ভুল তথ্য থাকলে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল ও নির্বাচিত হলেও যেন তারা সংসদে থাকতে না পারে সেই ব্যবস্থা করা, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য সময় বাড়ানো, রাজনৈতিক দলগুলো যেন অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক চর্চা করে তা মনিটরিং করা।

এগুলো বাস্তবায়ন না হলে নির্বাচনে যাওয়া ও ভোটাধিকার প্রয়োগ সম্ভব হবে না বলে মন্তব্য করেন এনসিপি নেতা।

নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, 'একই নামে দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে, অফিস নেই অথচ দলের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। তাই প্রত্যেকটা দলকে নতুন করে নবায়ন করা এবং সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তবায়ন করতে তাগিদ দিয়েছি।'

সিইসির সঙ্গে বৈঠকে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন—এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায়, খালেদ সাইফুল্লাহ, মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন ও তাজনূভা জাবীন।

Comments

The Daily Star  | English

Public Service Act: Ordinance out amid Secretariat protests

The government last night issued an ordinance allowing dismissal of public servants for administrative disruptions within 14 days and without departmental proceedings.

7h ago