চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৪টি ট্রেনের ৮টি বন্ধ

ছবি: স্টার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনাকারে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ৮টি ট্রেন এখনো চালু হয়নি। ট্রেনগুলো বন্ধের পর প্রায় আড়াই বছর পেরিয়ে গেছে। দীর্ঘদিন ট্রেনগুলো বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে আছেন ট্রেনের নিয়মিত যাত্রীরা।

করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ট্রেন চালুর ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মোহা. ওবাইদুল্লাহ বলেন, 'আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ১৪টি ট্রেন চলাচল করত। এসব ট্রেনে প্রতিদিন ৫-৬ হাজার মানুষ যাতায়াত করতেন। বর্তমানে ৬টি ট্রেন চালু আছে। আপ-ডাউন মিলিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস, মহানন্দা এক্সপ্রেস ও রাজশাহী মেইল কমিউটার ট্রেন চালু আছে। বন্ধ আছে ৪টি শাটল ট্রেন এবং লোকাল ৫৮১, ৫৮২, ৫৮৩ ও ৫৬৫ ট্রেন।'

তিনি আরও বলেন, 'বন্ধ ট্রেনগুলো কখন বা চালু হবে, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।'

রেলওয়ে পশ্চিম জোনের জিএম ওয়াসিম কুমার মল্লিক, 'মূলত কোচ ও ক্রু আছে সংকট আছে। এই ২ সংকটের কারণে এগুলো এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি।

যাত্রীরা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সব কটি ট্রেন যাত্রীদের কাছে জনপ্রিয় ছিল। এরমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী রুটে চলাচলকারী শাটল ট্রেনগুলো সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ছিল। কারণ কম সময়ের মধ্যেই এই ট্রেনে বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে যাওয়া যেত।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের শিবতলা এলাকার রায়হানুল ইসলাম বলেন, আগে শাটল ট্রেনে রাজশাহী গিয়ে অফিস করা যেতো। কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ নেই। কারণ ভোর ৬ টায় বনলতায় গেলে ৭ টার মধ্যেই রাজশাহী পৌছে অলস বসে থাকতে হয়। আবার সাড়ে ৮ টার ট্রেনে গেলে অফিস পৌছাতে দেরি হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়েই বাসে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের শান্তিবাগের বাসিন্দা কায়সার ইমাম একজন পোশাক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, 'সারাদিন বা একবেলা দোকান করে আগে পদ্মা বা ধূমকেতু ট্রেনে রাজশাহী থেকে ঢাকা গেছি। কিন্তু, শাটল ট্রেনগুলো বন্ধ হওয়ায় আমরা সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।'

স্টেশনের চা বিক্রেতা মোহাম্মদ লালু বলেন, 'আগে যখন সবগুলো ট্রেন চালু ছিল তখন সারাদিনই স্টেশনে যাত্রীদের সমাগম ছিল, বিক্রি ভালো হত। কিন্তু, এখন সকাল সাড়ে ৮টায় দ্বিতীয় ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ায় কর্মচঞ্চলহীন হয়ে পড়ে স্টেশন। পুরো স্টেশন ফাঁকা হয়ে যায়।'

Comments

The Daily Star  | English

‘July Warriors' tax-free income limit to be Tk 525,000 from FY27 

The tax-free income limit for war-wounded freedom fighters has been increased to Tk 525,000 from FY27 from Tk 500,000 at present.

54m ago