বাংলাদেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখবে আসামের প্রতিনিধি দল

প্রতিনিধি দলটিকে সীমান্তের শূন্য রেখায় ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। ছবি: স্টার

কয়েকটি পণ্য উৎপাদকারী প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখতে ভারতের আসাম রাজ্যের বিধানসভার স্পিকার ও সদস্যসহ ৬২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ এসে পৌঁছেছেন।

আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে ভারতের আগরতলা চেকপোস্ট হয়ে  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রণয় চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন ও আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা প্রতিনিধি দলটিকে সীমান্তের শূন্য রেখায় ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। 

আসাম রাজ্যের এই প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে ৫ দিনের সফর করবেন। 

ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে প্রবেশ করে
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ছবি: স্টার

সহকারী হাইকমিশনার জানান, আসামের এই প্রতিনিধি দলটির সফরের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব আর বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করা। এ ছাড়া সফরকালে তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। 

আসামের বিধানসভার স্পিকার বিশ্বজিৎ দৈমারী সীমান্তের শূন্য রেখায় দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা বাংলাদেশের কয়েকটি পণ্য উৎপাদনকারী ইন্ড্রাস্ট্রি ঘুরে দেখব। সংসদীয় ব্যবস্থাসহ অন্যান্য বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থা সম্পর্কে জানব।'

তিনি বলেন, 'শুধু প্রশাসনিকভাবে আমরা আলাদা। ভৌগোলিক ও মনের দিক থেকে আমরা আলাদা হইনি। অন্য ক্ষেত্রেও আমাদের মিল রয়েছে।'

বিধানসভার স্পিকার আরও জানান, ঢাকা সফর শেষে তারা রাঙামাটির একটি গ্রামে যাবেন। এ ছাড়া প্রতিনিধি দলটি খাগড়াছড়িতে বড়ো জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। তাদের সঙ্গে থাকা সাংস্কৃতিক দলটি বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও অংশ নেবেন। সফর শেষে আগামী ২২ নভেম্বর দলটি বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন।

 

Comments

The Daily Star  | English
Yunus, Charter, and Our Future

Yunus, Charter, and Our Future

Can the vision for 'New Bangladesh' ignore the poor, farmers, workers, youth, women, or employment and climate crises?

1h ago