ওসমান হাদি হত্যার মূল ২ আসামি মেঘালয়ে পালিয়েছেন: ডিএমপি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনার মূল দুই আসামি ভারতের মেঘালয়ে পালিয়ে গেছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পরপরই পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তারা ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা শহরে পৌঁছান।
আজ রোববার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় দেশে এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত শেষ পর্যায়ে আছে। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে।
ডিএমপি জানায়, হত্যাকাণ্ডের মূল 'শুটার' ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ এবং তার সহযোগী মোটরসাইকেলচালক মো. আলমগীর শেখ ঘটনার পরপরই ঢাকা ছাড়েন।
তারা প্রথমে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আমিনবাজার যান। সেখান থেকে মানিকগঞ্জের কালামপুর হয়ে একটি প্রাইভেটকারে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে পৌঁছান।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদেরকে চিহ্নিত করার আগেই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা সীমান্ত অতিক্রম করতে সক্ষম হন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হালুয়াঘাটের মুন ফিলিং স্টেশনের আগে ফিলিপ ও সঞ্জয় নামের দুই ব্যক্তি তাদের গ্রহণ করেন। ফিলিপ তাদের সীমান্ত পার করে ভারতে পুত্তি নামের এক ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করেন। পুত্তি তাদের সামি নামের এক ট্যাক্সিচালকের গাড়িতে তুলে দেন। ওই চালক তাদের মেঘালয় রাজ্যের তুরা শহরে পৌঁছে দেন।
ডিএমপি আরও জানায়, মেঘালয় পুলিশের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ করে জানা গেছে, আসামিদের পালাতে সহায়তাকারী পুত্তি ও সামি সেখানে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ডিএমপি জানায়, হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা, অস্ত্র লুকানো এবং আসামিদের পালাতে সহায়তা করার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আছেন শুটার ফয়সালের বাবা হুমায়ুন কবির, মা আসিফা বেগম, স্ত্রী শাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ শিপু এবং বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, মামলাটির তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সরকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ মামলার বিচার করার ঘোষণা দিয়েছে। সে লক্ষ্যেই আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।


Comments