সাংবাদিক রোজিনাকে ‘হয়রানি’ বন্ধে সিপিজে ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর আহ্বান

আদালতে সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। ছবি: ফাইল ফটো

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের প্রতি 'হয়রানি বন্ধ' করার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো।

গতকাল রোববার পাঠানো এক খোলা চিঠিতে এই আহ্বান জানায় সংগঠনগুলো।

চিঠিটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া, সিসি তালিকায় রাখা হয়েছে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে।

চিঠিটি সিপিজের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয় এবং এতে লেখা আছে, 'আমরা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীর পক্ষে নিম্নসাক্ষকারীরা। বাংলাদেশি সাংবাদিক ও মানবাধিকার রক্ষক রোজিনা ইসলামের হয়রানির অবিলম্বে অবসান নিশ্চিত করার জন্য আপনার ভূমিকা কামনা করছি।'

রোজিনা ইসলামের কাজের জন্য তিনি ২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের দুর্নীতিবিরোধী চ্যাম্পিয়নস অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন। তার কাজ জনসেবা, এটা কোনো অপরাধ নয় এবং জনস্বার্থ তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা) আইনের ধারা ৪ ও ৫ এর অধীনে সুরক্ষিত হওয়া উচিত।

বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে সাংবাদিকের মানবাধিকারের প্রতি সম্মান ও সুরক্ষার আহ্বান জানিয়ে খোলা চিঠিতে বলা হয়েছে, 'আমরা সাংবাদিক ও মানবাধিকার রক্ষক রোজিনা ইসলামের সুষ্ঠু বিচারের অধিকারসহ তার মানবাধিকারকে পূর্ণ সম্মান ও সুরক্ষা দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।'

খোলা চিঠিতে সই করা সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, অ্যান্টি-ডেথ পেনাল্টি এশিয়া নেটওয়ার্ক, ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রজেক্ট, কোয়ালিশন ফর উইমেন ইন জার্নালিজম, কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট, সিভিকস: ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর সিটিজেন পার্টিসিপেশন, ডার্ট সেন্টার ফর জার্নালিজম অ্যান্ড ট্রমা ফ্রি মিডিয়া মুভমেন্ট, ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্ডারস, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস (এফআইডিএইচ), ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্ট, ইন্টারন্যাশনাল উইমেনস মিডিয়া ফাউন্ডেশন, ওভারসিজ প্রেস ক্লাব অব আমেরিকা, পাকিস্তান প্রেস ফাউন্ডেশন, পেন আমেরিকা, পেন বাংলাদেশ, পেন ইন্টারন্যাশনাল, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস, রবার্ট এফ. কেনেডি হিউম্যান রাইটস, সাউথ এশিয়ান জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অ্যাগেইনস্ট টর্চার (ওএমসিটি)।

Comments

The Daily Star  | English

Victory day today: A nation born out of blood and grit

The tide of war had turned by mid-December in 1971. The promise of freedom was no longer a dream. It had hardened into tangible certainty.

8h ago