ভবনের কাঠামোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে মনিটরিং কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

গুলিস্তান ভবন
গুলিস্তানে গত ৭ মার্চ বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ডিএসসিসি। ছবি: পলাশ খান/স্টার

জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভবনের কাঠামো এবং পয়ঃনিষ্কাশন ও গ্যাসলাইন পরীক্ষা করতে ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আগামী ৭ দিনের মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, তিতাস গ্যাস লিমিটেড এবং ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের আগামী ৭ দিনের মধ্যে এ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

মনিটরিং কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ভবন ও পয়ঃনিষ্কাশন-গ্যাস লাইনের ত্রুটি মেরামত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এবং আগামী ৮ সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয় আদেশে।

একইসঙ্গে, রাজধানীতে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, নিরাপত্তা নিশ্চিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে তা জানতে চেয়ে একটি রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, রাজউক চেয়ারম্যান, ঢাকা ওয়াসার এমডি, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও তিতাস গ্যাসের এমডিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) গত ১২ মার্চ এ রিট আবেদন করে।

রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

গত ৭ মার্চ রাজধানীর গুলিস্তান এলাকার সিদ্দিকবাজারের ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বার্থে এ রিট করা হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English
Yunus, Charter, and Our Future

Yunus, Charter, and Our Future

Can the vision for 'New Bangladesh' ignore the poor, farmers, workers, youth, women, or employment and climate crises?

17h ago