সনদ জালিয়াতি

লাইসেন্স হারাচ্ছেন বিমানের পাইলট সাদিয়া

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফার্স্ট অফিসার সাদিয়া আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

জাল শিক্ষাসনদ জমা দেওয়ার অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফার্স্ট অফিসার সাদিয়া আহমেদের কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স (সিপিএল) বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

আজ মঙ্গলবার বেবিচকের শীর্ষ এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা নিশ্চিত করছি যে, তিনি (সাদিয়া আহমেদ) কোনো ফ্লাইট চালাতে পারবেন না। তাকে ইতোমধ্যে গ্রাউন্ডেড করা হয়েছে। এখন আমরা তার লাইসেন্স বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছি।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তা বলেন, 'বেবিচক তার লাইসেন্স তাড়াহুড়ো করে বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।'

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের কিছু আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। আমরা চাই না যে, একজন পাইলটের লাইসেন্স বাতিলের ক্ষেত্রে যথাযথ নিয়ম অনুসরণে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক।'

সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের পর এ পদক্ষেপ নেয় বেবিচক। ওই প্রতিবেদনে উঠে আসে যে, বিমানের ফার্স্ট অফিসার সাদিয়া আহমেদ উচ্চ মাধ্যমিকের সময় মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী হওয়া সত্ত্বেও তিনি নিজেকে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে উল্লেখ করে জাল শিক্ষাসনদ জমা দিয়েছিলেন।

বেবিচকের নির্দেশিকায় বলা আছে যে, বাণিজ্যিক পাইলটদের অবশ্যই এইচএসসি (বিজ্ঞান) বা বাধ্যতামূলক পদার্থবিদ্যা এবং গণিতের সঙ্গে সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।

সাম্প্রতিক এক তদন্তে জানা গেছে, সাদিয়া আহমেদ জাল শিক্ষাগত সনদ জমা দিয়েছেন। ওই জাল সনদ অনুযায়ী, তিনি এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন বিজ্ঞান শাখা থেকে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, তিনি শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজ থেকে মানবিক শাখা থেকে দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করেছিলেন।

সাদিয়া বিমানের চিফ অব ট্রেনিং ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদের স্ত্রী।

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Secretariat employees protest against 'stricter' govt service law

From 9:30am, officers and staff started gathering in front of building no. 6 at the Secretariat's Badamtola.

34m ago