বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে গিয়ে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা

সাফারি পার্ক
ঈদের তৃতীয় দিন আজ সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে গেছেন অনেকেই। ছবি: আবু বকর সিদ্দিক আকন্দ/স্টার

ঈদের তৃতীয় দিন আজ সোমবার গাজীপুরের বিভিন্ন পার্কে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, ন্যাশনাল পার্কসহ বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা পার্ক ও পিকনিক স্পটগুলোতে দর্শনার্থীদের যথেষ্ট ভিড় ছিল। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে এসেছেন টঙ্গী বিসিক শিল্প এলাকার একটি কারখানার প্রশাসনিক নির্বাহী সানোয়ার হোসেন। তিনি জানান, সোমবার ঘোরার জন্য দিনটির আবহাওয়া কিছুটা অনুকূলে ছিল। 

তিনি বলেন, 'সাফারি পার্কের প্রাণীজগৎ, কোর সাফারি, হাতিশালা, কুমির বেষ্টনী, বিচিত্র মাছের আনাগোনা, জলহস্তী, অজগর, রঙ-বেরঙের পাখিসহ বিলুপ্তপ্রায় কয়েক জাতের প্রাণি দেখে মুগ্ধ হয়েছি।'

দর্শনার্থী সোনিয়া রিংকী জানান, বসন্ত শেষের পরও কিছু গাছে নতুন পাতা সাফারি পার্কের প্রকৃতিকে ভিন্নমাত্রা দিয়েছে। তবে প্রাণী বৈচিত্র্যের প্রতি কর্তৃপক্ষকে আরও বেশি যত্নবান হওয়া উচিত। কিছু বেষ্টনীতে বৈচিত্র্যটা ফিরিয়ে আনার জন্য সংস্কার করা প্রয়োজন।

শিশু দর্শনার্থী সুমাইয়া জাহান টুম্পা জানায়, সাফারি পার্কের নানা ধরনের পাখি ও ময়ূর দেখে তার বেশি ভাল লেগেছে।

সাফারি পার্ক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের প্রবেশমুখে দর্শনার্থীদের দীর্ঘ সারি। ছবি: আবু বকর সিদ্দিক আকন্দ/স্টার

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঈদ উপলক্ষে পার্কের পরিচ্ছন্নতা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তার দিকে জোর দেওয়া হয়েছে। প্রযুক্তিগত নিরাপত্তার পাশাপাশি পার্কের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মঘণ্টা বাড়ানো এবং দায়িত্ব বণ্টনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সব মিলিয়ে দর্শনার্থীরা পার্ক পরিদর্শনের জন্য অনুকূল পরিবেশের নিশ্চয়তা পাচ্ছেন।'

ন্যাশনাল পার্কে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন ঢাকার মিরপুরের ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন হোসেন। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সম্প্রতি ন্যাশনাল পার্কের পরিবেশের অনেকটা উন্নতি হয়েছ বলে জানতে পেরেছি। সে কারণেই এবার পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি।'

তিনি বলেন, 'এখানে পুরোনো সব গাছের নিচে সবুজের শীতল ছায়া অতুলনীয়। প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা জলাধার আর শালবন বেষ্টিত রাজেন্দ্রপুর ন্যাশনাল পার্কে সুউচ্চ কয়েকটা টাওয়ার আছে। এগুলোতে উঠে বিস্তীর্ণ শালবনের দিগন্ত দেখা যায়। এখানে প্রকৃতির সবুজ আর আকাশের মাঝে যেন কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।'

আরেক দর্শনার্থী সামসুদ্দীন হাওলাদার বলেন, 'ন্যাশনাল পার্কের ভেতরে ভাড়ায় ঘোড়ার গাড়ি পাওয়া গেছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শালবনের কিছু অংশ ঘুরে দেখে মন জুড়িয়ে গেছে। রাজধানী ঢাকার কাছে সবুজের এমন সমারোহ যেন এক অন্য জগত।'

রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টের ব্যবস্থাপক আহমেদ ডেইলি স্টারকে জানান, গাজীপুর জেলায় কমপক্ষে দেড়শ বেসরকারি রিসোর্ট ও পার্ক আছে। ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে সাধারণ দর্শনার্থীদের ভিড় জমে এসব জায়গায়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Public Service Act: Ordinance out amid Secretariat protests

The government last night issued an ordinance allowing dismissal of public servants for administrative disruptions within 14 days and without departmental proceedings.

7h ago