বিয়ের আসর থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি নবদম্পতির

বিয়ের আসরে অতিথিদের সঙ্গে বর মাহমুদুল হাসান ও কনে সুমাইয়া আফরিন। ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহে আয়োজিত একটি বিয়ের আসর থেকে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন এক নবদম্পতি। একইসঙ্গে তারা এই আইনে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার মুক্তির দাবিও তুলেছেন।

এই নবদম্পতি হলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের দপ্তর সম্পাদক মাহমুদুল হাসান এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেত্রী সুমাইয়া আফরিন।

'অ্যাবোলিশ ডিএসএ' ও 'ফ্রি খাদিজা' লেখা ২টি প্ল্যাকার্ড হাতে বিয়ের আসরে তোলা তাদের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বর-কনে ২ জনই পূর্বপরিচিত। যৌথ সিদ্ধান্তে পারিবারিকভাবে গতকাল সন্ধ্যায় বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তারা।

এর পরপরই অভিনব প্রতিবাদের ওই মুহূর্ত তৈরি হয়। বর-কনেসহ আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে কয়েকজন 'জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো', 'অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন, ডিএসএর বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন', 'খাদিজার মুক্তি চাই', 'ডিএসএ বাতিল কর'- এমন সব স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠেন।

এ বিষয়ে মাহমুদুল হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের নতুন জীবনের শুরুটা আমরা করতে চেয়েছি এই নিবর্তনমূলক আইনের বাতিল ও খাদিজার দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়ে। সকল প্রকার জুলুমের অবসানের মাধ্যমে গণমানুষের মুক্তির সংগ্রামে বিবেকবান মানুষদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানানোর প্রত্যয়েই আমাদের এই প্রতিবাদ।'

মাহমুদুল হাসান আরও বলেন, 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় খাদিজাতুল কুবরা দীর্ঘ ৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে আছেন। তিনি কিডনি সমস্যায় ভুগছেন। অসংখ্যবার চেষ্টা করেও তাকে জামিনে মুক্ত করা যায়নি। কারণ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারাসমূহ জামিন অযোগ্য। বিভিন্ন পরিসংখ্যানে বিষয়টি স্পষ্ট, এই মামলাটি রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার ও ভিন্ন মত দমনে ক্ষমতাসীনদের একটি হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।' 

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশফার রহমান নবীনের ভাষ্য, 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে সারা দেশেই আন্দোলন চলছে। কিন্তু এই আইন বাতিল করা হচ্ছে না। বিয়ের অনুষ্ঠানে বর-কনের এ প্রতিবাদ এই আন্দোলনেরই অংশ।'

Comments

The Daily Star  | English

Fire breaks out at building in Mirpur's Kalshi

Cause of the fire could not be known immediately

46m ago