ইলিশ মিলছে না পদ্মা-মেঘনায়, বেচাকেনা নেই আড়তে

ইলিশ
চাঁদপুরের মাছঘাটে অল্প কিছু ইলিশ এলেও, ক্রেতা না থাকায় বিক্রি হচ্ছে না। ছবি: আলম পলাশ/স্টার

জাটকা রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা নদীতে নামলেও দেখা মিলছে না ইলিশের। অনেকটা খালি হাতেই ফিরছেন তারা। 

এ কারণে আজ সোমবার চাঁদপুর শহরের প্রধান মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র মাছঘাটে এই চিত্র দেখা গেছে। মাছ না থাকায় আড়তদার অনেকটা অবসর সময় কাটাচ্ছেন। 

আজ সকালে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, মাছ শূন্য পুরো মাছঘাটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে আছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা। দোকান বা আড়ত খুলে অপেক্ষায় আছেন মালিকরা। ক্রেতার দেখা মিলছে না।

ধীরে ধীরে দুয়েকজন জেলে মাছ নিয়ে এলেও, তাদের কাছে ইলিশ ছিল না। ছিল কিছু পোয়া, বেলে ও অন্যান্য মাছ।

ইলিশ বিক্রেতা শাহাবুদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত এই ঘাটে মাত্র ৭-৮কেজি ইলিশ এসেছে। সেইসঙ্গে কিছু পোয়া, রিঠা ও আইর মাছ এসেছে। কিন্তু দাম অনেক বেশি।'

তিনি জানান, ৩০০-৪০০ গ্রাম ওজনের প্রায় ৪ কেজি ও ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের প্রায় সাড়ে ৩ কেজি ইলিশ নিয়েছেন তিনি জেলেদের কাছ থেকে। তবে অনেক দাম দিয়ে এসব ইলিশ কেনার পর, বিক্রির জন্য ক্রেতার দেখা পাননি তিনি।

এই ঘাটের শ্রমিক সরদার জয়নাল জমাদার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রায় ৫০ বছর ধরে এই ঘাটে কাজ করি। দুই মাস নিষেধাজ্ঞার পর এ রকম দুরবস্থা আর দেখিনি। মাছ না থাকায় ঘাটের আড়তদারদের মতো আমরা শ্রমিকরাও বসে অবসর কাটাচ্ছি।'

স্থানীয় জেলে মজিবুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভোর থেকে নদীতে নেমে প্রায় ৩ হাজার টাকার মাছ পেয়েছি। তবে এতে ইলিশ ছিল না। কারণ নদীতে পানি কম। এখন ইলিশ পাওয়া যাবে না। পানি বাড়লে হয়ত পাওয়া যেতে পারে।'

এ প্রসঙ্গে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ সময় সব জাটকা নদী থেকে সাগরে চলে যায়। এ জন্য এখন ইলিশ পাওয়া যাবে কম। তবে এক-দেড় মাস পর নদীর পানি বাড়ার সাথে সঙ্গে সঙ্গে ইলিশও পাওয়া যাবে বলে আমরা আশা করছি।'

এদিকে, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কিছু জেলে পদ্মা-মেঘনায় পাঙ্গাসের পোনা নিধন করছে বলে জানা গেছে। এসব পোনা মাছঘাটের ভেতরে দুয়েকটি ঘরে গোপনে কেনা-বেচা চলছে।

ঘাটের পশ্চিম দিকের একটি ঘরে নদীর পাঙ্গাসের পোনা মজুত করে প্যাকেটজাত করা হচ্ছে। জানতে চাইলে সেখানকার কর্মী মোস্তাফিজুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা ৩০০ টাকা কেজি দরে পাঙ্গাসের পোনা জেলেদের কাছ থেকে কিনেছি। এগুলো শরীয়তপুরে নিয়ে বিক্রি করা হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

No scope to verify authenticity when cases are filed: IGP

Instructions have already been issued to ensure that no one is arrested in a harassing manner, he says

1h ago