পাগলা মসজিদের ৮ দানবাক্সে ১৯ বস্তা টাকা, চলছে গণনা

পাগলা মসজিদ
ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ৮টি দানবাক্স থেকে ১৯ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। প্রতি ৩ মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস পর খোলা হলো।

আজ শনিবার সকালে দানবাক্সগুলো খুলে টাকা ছাড়াও বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এটিএম ফরহাদ চৌধুরী তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, 'এখন গণনা চলছে।'
 
গত ৭ জানুয়ারি ৩ মাস ১ দিন পর দানবাক্স খোলা হয়েছিল। ২০টি বস্তায় সেবার রেকর্ড ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়।

মসজিদ পরিচালনা কমিটি জানায়, আজ সকাল ৮টার দিকে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের ৮টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। দানবাক্সগুলো খুলে ১৯টি বস্তায় ভরে টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় নেওয়া হয় গণনার জন্য।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজ, সিনিয়র সহকারী কমিশনার শেখ জাবের আহমেদ, সিরাজুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার নাবিলা ফেরদৌস, সাদিয়া আফরীন তারিন, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা টাকা গণনায় অংশ নেন।

এলাকাবাসী বলেন, এই মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এই বিশ্বাস থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই দান করে থাকেন।

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ জমির ওপর গড়ে উঠেছিল মসজিদটি। এ মসজিদের পরিধির সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্য। মসজিদকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবনও।

মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়। এছাড়া করোনাকালে রোগীদের সেবায় অনুদান দেওয়া হয়েছিল।

ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, প্রাথমিকভাবে যার নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মানুষ একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

Comments

The Daily Star  | English

Govt publishes gazette of 1,558 injured July fighters

Of them, 210 have been enlisted in the critically injured "B" category, while the rest fall under the "C" category of injured fighters

4h ago