পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ২২ কোটি টাকা, বিদেশি মুদ্রা, স্বর্ণালংকার ও হীরা

পাগলা মসজিদের দানবাক্স
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ২২ কোটি টাকা, বিদেশি মুদ্রা, স্বর্ণালংকার ও হীরা পাওয়া গেছে। ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছর চার বার খোলা হয়েছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স। এ চার বারে মোট ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৮১ টাকা পাওয়া গেছে। টাকার পাশাপাশি হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে।

সর্বশেষ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের ৯টি দানবাক্স খুলে ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। ১৫ ঘণ্টা ধরে গণনা শেষ রেকর্ড পরিমাণ ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

পাগলা মসজিদের দানবাক্স
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ২২ কোটি টাকা, বিদেশি মুদ্রা, স্বর্ণালংকার ও হীরা পাওয়া গেছে। ছবি: সংগৃহীত

এর আগে গত ১৯ আগস্ট মসজিদের ৮টি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ২৩ বস্তায় ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা এবং বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণালংকার ও হীরা পাওয়া যায়।

তার আগে গত ৬ মে দানবাক্স থেকে ১৯টি বস্তায় ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণালংকার ও হীরা পাওয়া গিয়েছিল।

এছাড়া চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ২০ বস্তায় পাওয়া যায় ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণালংকার ও হীরা।

পাগলা মসজিদের দানবাক্স
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ২২ কোটি টাকা, বিদেশি মুদ্রা, স্বর্ণালংকার ও হীরা পাওয়া গেছে। ছবি: সংগৃহীত

ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে ৮টি লোহার দানবাক্স থাকলেও এবার আরও একটি দানবাক্স বাড়ানো হয়েছে।

পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্র জানিয়েছে, মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজ কল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়।

পাগলা মসজিদের দানবাক্স
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ২২ কোটি টাকা, বিদেশি মুদ্রা, স্বর্ণালংকার ও হীরা পাওয়া গেছে। ছবি: সংগৃহীত

মসজিদটিকে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার নামকরণ হবে 'পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স'। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৩০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

Comments

The Daily Star  | English

Water lily tug-of-war continues

The Election Commission and National Citizen Party remain locked in a heated debate over the party’s choice of electoral symbol, the water lily -- a dispute that began in June..Despite several exchanges of letters and multiple meetings between NCP and the chief election commissioner, other

1h ago