তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুন, মা-ছেলেসহ ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনের একটি বগি থেকে চার জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

আজ মঙ্গলবার ভোরে এই আগুনের ঘটনা ঘটে।

সকাল ৭টার দিকে চার জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায় রেলওয়ে থানা পুলিশ। তাদের মধ্যে দুজনের পরিচয় জানা গেছে।

তারা হলেন—নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) ও তার ছেলে ইয়াসিন (৩)। বাকি দুজনের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তাদের বয়স আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০ বছর।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) মো. মাসুদ দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা শাহজাহান সিকদার ডেইলি স্টারকে জানান, ভোর ৫টা ৪ মিনিটে আগুনের সংবাদ পেয়ে ৫টা ১২ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।

তেজগাঁও ফায়ার স্টেশনের তিন ইউনিট পুলিশের নিরাপত্তায় সেখানে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

নিহত নাদিরার ভাই ও প্রত্যক্ষদর্শী হাবিবুর রহমান হাবিব ডেইলি স্টারকে জানান, তাদের বাড়ি নেত্রকোনা সদর উপজেলার বরুনা গ্রামে। গত ৩ ডিসেম্বর তারা গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখান থেকে গত রাত ১২টার দিকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে ঢাকায় রওনা দেন। ভোরে তাদের ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল। তার সঙ্গে ছিলেন বোন নাদিরা ও নাদিরার দুই ছেলে ইয়াসিন (৩) ও ফাহিম (৮)।

হাবিবুর আরও জানান, তেজগাঁও স্টেশন এসে ট্রেনটি থামলে কয়েকজন যাত্রী সেখানে নেমে যান। সেসময় তাদের পেছনের সিটে থাকা দুইজনও নেমে যায়। পরে ট্রেন চলতে শুরু করা মাত্রই পিছনের সিট থেকে আগুন জ্বলে উঠে। মুহূর্তেই আগুন পুরো বগিতে ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে দৌঁড়ে তিনি ফাহিমকে নিয়ে ট্রেন থেকে নামতে পারলেও ভেতরে আটকা পড়েন ছোট ছেলে ইয়াসিন ও তার মা নাদিরা। তাদেরকে আর কোনোভাবেই সেখান থেকে বের করতে পারেননি।

ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রেনটি কমলাপুর স্টেশনে নিয়ে আসা হয়েছে। এখন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক।'

Comments

The Daily Star  | English

‘This fire wasn’t an accident’: Small business owner’s big dreams destroyed

Once a garment worker, now an entrepreneur, Beauty had an export order ready

5h ago