অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সর্বোচ্চ সর্তক আছি: বিজিবি রিজিয়ন কমান্ডার

বিজিবি
সোমবার সন্ধ্যায় ঘুমধুম সীমান্তে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ আলম। ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আলোচনা চলছে বলে বিজিবি জানিয়েছে।

বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ আলম বলেন, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত পাওয়ার পরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঘুমধুম সীমান্তবর্তী বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়কে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেছেন।

কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, 'মিয়ানমারের ছোঁড়া মর্টার শেলে ২ জন নিহতের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে সংঘাত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বিজিবি। এর মধ্যে সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।'

বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোরশেদ আলম বলেন, 'কয়েকদিন আগে উখিয়ার পালংখালী সীমান্তের এপারে কয়েকটি মর্টার শেল এসে পড়ে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তারপরও বিজিবি বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমার বিজিপির কাছে প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছিল।'

'বর্তমানে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে। পাশাপাশি গত শনিবার রাত থেকে তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, ঘুমধুম এলাকায় আরকান আর্মি এবং বিজিপির মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করে। এ পরিস্থিতিতে সীমান্তে বিজিবির সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি কঠোর সর্তক অবস্থান নেওয়া হয়েছে,' যোগ করেন তিনি।

বিজিবির এই কর্মকর্তা বলেন, 'রোববার সকালে হঠাৎ করে বিজিপি সদস্যরা প্রাণ রক্ষায় বাংলাদেশে পালিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। বিষয়টি বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে। নির্দেশনা অনুযায়ী বিজিপি সদস্যদের অনুপ্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয় এবং তাদের অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি হেফাজতে আনা হয়।'

'আজ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯৫ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিয়েছে' উল্লেখ করে বিজিবির রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, 'তাদের খাবার এবং নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখনো ৭ জন  চিকিৎসাধীন আছেন।'

'বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ার পর বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে,' বলেন তিনি।

আজ দুপুরে মর্টার শেলের আঘাতে ২ জন নিহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'তাৎক্ষণিকভাবে বিজিপির কাছে কঠোর প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গাসহ কেউ যেন অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য সর্বোচ্চ সর্তক রয়েছে বিজিবি।' 

Comments

The Daily Star  | English

July Charter: Next parliament may get 90-120 days for implementation

The National Consensus Commission is considering a proposal to allow the next parliament to function as a Constitution Reform Assembly for three to four months to implement the July Charter.

4h ago