বরিশাল-ভোলা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ, শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক আটকা

বরিশালের সদর উপজেলার সাহেবের হাট সুইজ গেট এলাকায় গতকাল রোববার একটি পণ্যবাহী ট্রাক পার হওয়ার সময় বেইলি ব্রিজটি ভেঙে ট্রাক খালে পড়ে যায়। ছবি: টিটু দাস/ স্টার

বেইলি ব্রিজ ভেঙে বরিশাল-ভোলা সড়কে যান চলাচল গতকাল রোববার থেকে বন্ধ থাকায় বরিশাল অংশের সড়কে আটকে পড়েছে শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। 

এদিকে বরিশাল-ভোলা সড়ক যোগাযোগ পুনস্থাপনে সড়ক ও জনপথ বিভাগ চেষ্টা চালালেও এটি ঠিক হতে আরও ২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে তারা নিশ্চিত করেছেন।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানায়, বরিশাল-ভোলা আঞ্চলিক সড়কে বরিশাল সদর উপজেলার সাহেবের হাট খালের ওপর একটি কালভার্ট তৈরির জন্য বিকল্প একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু অতিরিক্ত পণ্য নিয়ে ট্রাক চলাচল করায় রোববার সকালে এটি ভেঙে পড়ে। এর ফলে এই পণ্যবাহী সব গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল জানান, দুর্ঘটনায় ট্রাকের ভেতরে থাকা চালক ও হেলপার আহত হয়েছেন।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, বিকল্প সড়ক তৈরি করতে আরও ২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে। এর ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সড়কের উভয় প্রান্তে প্রায় ১ কিলোমিটার জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে যানজট।

১৮ হাজার লিটার ডিজেল ও পেট্রল মংলা থেকে নিয়ে আটকা পড়েছেন ড্রাইভার আজাদ। তিনি জানান বেইলি ব্রিজ ভাঙার খবর পাই নাই। আজ দুপুর ১২টায় এসে পৌঁছেছি। শুনলাম আরও একদিন এখানে থাকতে হবে।

পণ্যবাহী ট্রাকের চালকরা জানান, অন্তত ১০০ ট্রাক আটকে পড়েছে। এর মধ্যে তেল ছাড়াও খাদ্যপণ্য রয়েছে।

টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাদিরা রহমান জানান, বেইলি ব্রিজ ভেঙে পড়ায় বন্ধ হয়ে গেছে বরিশাল-ভোলা মহাসড়কে যান চলাচল।

ভোলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অত্যাবশ্যক পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানান তিনি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, যেনতেনভাবে মাত্র এক মাস আগে ব্রিজটি তৈরি করে রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। শুরুতেই ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  বেশকিছু দিন ধরে একাধিকবার বলা হলেও ব্রিজ মেরামতে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে ক্ষোভ রয়েছে তাদের। একই কথা জানিয়েছেন এ রুটে চলাচলকারী ট্রাক, বাস ও ট্যাংক লরির চালক হেলপাররা। তাদের দাবি সেতুটি দিয়ে কী পরিমাণ ওজনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে তার নির্দেশনা দেওয়া ছিল না।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন বলেছেন, ২০ টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন বেইলি ব্রিজটিতে অতিরিক্ত পণ্য ওঠাতেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Experts from four countries invited to probe into Dhaka airport fire: home adviser

Says fire that spread fast due to chemicals, garment materials was contained in time

14m ago