রাজাকারের তালিকা প্রণয়নের কাজ হচ্ছে দুই ভাগে: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

১৮ ডিসেম্বর ২০১৯, মানিকগঞ্জে শহরের বিজয় মেলা মাঠে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের এক সমাবেশে বক্তৃতা করছেন আ ক ম মোজাম্মেল হক। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, দুই ভাগে রাজাকারের তালিকা প্রণয়নের কাজ হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, 'একটি হলো সক্রিয়ভাবে যারা কাজ করেছে। যেমন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে রাস্তাঘাট চিনিয়ে নিয়ে বাড়িঘর পোড়ানোর সহযোগিতা করেছে, লুটপাট করতে সহযোগিতা করেছে, অস্ত্র নিয়ে-ট্রেনিং নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। তাদের একটি তালিকা। আরেকটি হচ্ছে, যারা রাজাকার হিসেবে নাম দিয়ে রেখেছে জীবন বাঁচানোর জন্য। তখন হয়তো কিছু বলার ছিল না।'

আজ মঙ্গলবার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, 'এগুলো নিয়ে এখন খুবই বিভ্রান্তি-দ্বিমত হচ্ছে। কাজেই এটা একটি জটিল ব্যাপার। তারপরও শাজাহান খান সাহেবের নেতৃত্বে কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ওনারা কাজ করছেন। ওই কমিটি আমাদের কাছে তালিকা পাঠালে আমরা সেটি প্রকাশ করব।'

রাজাকারের তালিকার জন্য আলাদা কমিটি আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন,  সরকারিভাবে যে তালিকা ছিল, সেটি আমরা প্রকাশ করার চেষ্টা করেছিলাম। তখন দেখা গেলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা যুদ্ধের সপক্ষে ছিল এমন মানুষের নাম তালিকায় এসেছে। তখন দেশবাসী এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু রেকর্ডে তাদের নাম ছিল।

মোজাম্মেল হক বলেন, 'বধ্যভূমি, যুদ্ধকালীন ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বীর নিবাসের কাজ যেন যথাযথভাবে হয়, সেজন্য তাদের (ডিসি) তদারকি বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যেসব সমস্যা আছে বা কিছু নিয়ে গেলে সেগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

6h ago