ট্রেনে জানালার পাশের সিটে বসা নিয়ে দ্বন্দ্ব, নিহত ১

ছবি: সংগৃহীত

চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা মেইল ট্রেনে জানালার পাশের সিটে বসা নিয়ে দুই যাত্রীর হাতাহাতির ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ৭টার দিকে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যাত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ (উপ-পরিদর্শক) মো. শহীদুল্লা।

নিহতের নাম ঝুমুর কান্তি বাউল (৪২)। তিনি নরসিংদী সদর উপজেলার বীরপুর গ্রামের প্রত্যুত কুমার বাউলের ছেলে। ঢাকার একটি গার্মেন্টস কোম্পানিতে সিনিয়র মার্চেন্ডাইজিং হিসেবে কাজ করতেন ঝুমুর।

অপরদিকে, অভিযুক্ত যাত্রীর নাম মঞ্জুর মিয়া (৫৫)। তিনি চট্রগ্রামের সীতাকুন্ডের বাসিন্দা। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা অভিমুখী ঢাকা মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনটি নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছানোর পর ঝুমুর কান্তি বাউল ট্রেনের শেষ বগিতে ওঠেন এবং জানালার পাশের সিটে বসতে চান। এ নিয়ে মনজুরের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়, পরে তা ধাক্কাধাক্কিতে রূপ নেয়৷

এক পর্যায়ে ঝুমুর কান্তি বাউলকে লাথি এবং বুকে ঘুষি দেন মঞ্জুর মিয়া। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে নামিয়ে দেন যাত্রীরা।

পরে স্টেশন কতৃপক্ষ ঝুমুর কান্তি বাউলকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আর এম ও মোহাম্মদ মাহমুদুল কবির বাসার বলেন, 'ঝুমুর বাউল নামে একজন রোগীকে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। তিনি হাসপাতালে আসার আগেই মারা যান। কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। তবে তার গায়ে কাটা ছেড়ার দাগ ছিল না।'

এ বিষয়ে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) মো. শহিদুল্লা বলেন, 'অভিযুক্তকে কমলাপুর রেলওয়ে পুলিশ আটক করেছে৷ এ ঘটনায় আমরা কাজ করছি। আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Hasina can’t evade responsibility for Khaleda Zia’s death: Nazrul

In 2018, Khaleda walked into jail, but came out seriously ill, he says

2h ago