সব হাসপাতালে কাল থেকে সেবাদান স্বাভাবিক রাখার ঘোষণা চিকিৎসকদের

আজ সন্ধ্যায় আন্দোলনরত চিকিৎসকরা সংবাদ সম্মেলন করে কর্মবরিত স্থগিতের ঘোষণা দেন। ছবি: সংগৃহীত

আগামীকাল বুধবার থেকে দেশের সব হাসপাতালের সব বিভাগে সেবাদান পুরোদমে চলবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। 

নতুন করে আন্দোলনের কোনো ঘোষণা নেই বলেও জানিয়েছেন তারা।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পক্ষে ঢামেকের নিউরোসার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. আব্দুল আহাদ এ ঘোষণা দেন।

এর আগে, বিকেলে চিকিৎসকদের একটি প্রতিনিধি দল স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

ডা. আব্দুল আহাদ বলেন, 'সরকারের দৃশ্যমান পদক্ষেপ ও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা দেশের সব হাসপাতালে পূর্ণসেবা পুনরায় চালু করার ঘোষণা দিচ্ছি।'

তিনি বলেন, 'আমাদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দাবি স্বাস্থ্য পুলিশ গঠন এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়নে তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে। তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই দাবিগুলো বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন।'

আব্দুল আহাদ বলেন, 'এ লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হবে বলে স্বাস্থ্য সচিব আমাদের জানিয়েছেন। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবায় ক্যাডার বৈষম্য ও রেফারাল সিস্টেম তৈরির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।'

'শিগগির আমাদের দাবি বাস্তবায়ন হবে বলে আমরা আশাবাদী এবং স্বাস্থ্যসেবার পরিবেশ আরও নিরাপদ হবে,' বলেন তিনি।

এই আন্দোলনে সহযোগিতার জন্য ঢামেক পরিচালক ও অধ্যক্ষকে ধন্যবাদ জানান চিকিৎসকরা। তারা চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় কাজ করার জন্য সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও আনসারসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানান।

নিউরোসার্জারি বিভাগের আরেক আবাসিক সার্জন ডা. ইমাম হোসেন বলেন, 'যেহেতু মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে দাবিগুলো মেনে নেওয়া হবে, তাই আমরা আপাতত আন্দোলন স্থগিত করেছি।'

সেবাদান আজ মঙ্গলবার রাত থেকেই পুরোদমে চালু হবে কি না, জানতে চাইলে ডা. ইমাম বলেন, 'আমরা আজ সকাল থেকেই কাজেই আছি। আগামীকাল থেকে হাসপাতালে সব বিভাগে চিকিৎসাসেবা পুরোদমে চলবে। হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট।'

Comments

The Daily Star  | English

Potato price dips below Tk 20/kg amid oversupply

Potato prices across Bangladesh have plunged below Tk 20 per kilogramme from Tk 25 a month ago, leaving farmers reeling from losses even as the government struggles to contain the market glut..Stakeholders blame the government for failing to implement its announced measures, including a mi

Now