রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদন

ভুয়া ভিডিও দিয়ে সারজিস আলমের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মিথ্যা প্রচারণা

ছবি: রিউমর স্ক্যানারের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

ভুয়া ভিডিও প্রচার করে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে ফ্যাক্টচেকিং প্ল্যাটফর্ম রিউমর স্ক্যানার বাংলাদেশ।

আজ বৃহস্পতিবার রিউমর স্ক্যানার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

সারজিস আলমের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইয়াছমিন মিতু শ্লীলতাহানির মিথ্যা অভিযোগ এনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।

সম্প্রতি, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইয়াছমিন মিতু শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৮টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত ফেসবুকে ওই দুটি ভিডিও ৪৯ লাখের বেশি বার দেখা হয়েছে। ভিডিও দুটি শেয়ার হয়েছে সাত হাজারের বেশি।

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, সারজিস আলমের বিরুদ্ধে সমন্বয়ক ইয়াছমিন মিতুর শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনার দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি আসল না। ভিন্ন এক নারীর পুরোনো ঘটনার ভিডিও থেকে অডিও সংগ্রহ করে, প্রযুক্তির সহায়তায় দৈনিক সমকাল পত্রিকায় মিতুর দেওয়া একটি বক্তব্যের ভিডিওতে যুক্ত করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে সমকালের ফেসবুক পেজে গত ১৬ ডিসেম্বর 'স্বৈরাচারী আপা বিজয় দিবসকে এতদিন নিজের করে নিত' শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলের অবসানের পর তরুণরা বিজয় দিবস কেমন উপভোগ করেছেন সেটি তুলে ধরা হয়েছে। ভিডিওর তিন মিনিট দুই সেকেন্ড সময় থেকে অন্যান্যদের পাশাপাশি সমন্বয়ক মিতুকেও বক্তব্য দিতে দেখা যায়।

মিতুর বক্তব্যের ফুটেজের সঙ্গে সারজিস আলমের বিরুদ্ধে প্রচারিত ভিডিওটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিও দুটিতেই তিনি একই শাড়ি, গহনা পরে আছেন এবং অঙ্গভঙ্গি অভিন্ন। তবে ভিডিওটিতে তাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগের পরিবর্তে বিজয় দিবস নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়।

অনুসন্ধানে জুয়েল জুয়েলরানা ইংরেজি নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ৩০ সেপ্টেম্বর আপলোড করা একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়, সারজিস আলমের বিরুদ্ধে প্রচারিত ভিডিওতে যেখান থেকে অডিও সংযুক্ত করা হয়েছে।

ভিডিও পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শুরু থেকে ১৬ সেকেন্ড পর্যন্ত সময়ের বক্তব্যের সঙ্গে আলোচিত ভিডিওর বক্তব্য এবং কণ্ঠস্বরে মিল রয়েছে। 
অর্থাৎ, বিউটি নামে ভিন্ন এক নারীর বক্তব্যকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে সমন্বয়ক ইয়াছমিন মিতুর ভিডিওতে যুক্ত করে প্রচার করা হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Ignore Gen Z at your peril, experts tell Nepal govt

Prominent personalities warn government and parties not to dismiss the demands of youths

1h ago