তিস্তা প্রকল্পে বেইজিং বাংলাদেশের পাশে থাকতে প্রস্তুত: চীনা রাষ্ট্রদূত

সংবাদ সম্মেলনে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, তিস্তা প্রকল্পের বিষয়ে চীন বাংলাদেশের পাশে থাকতে প্রস্তুত।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে বারিধারায় চীনা দূতাবাসে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিস্তা প্রকল্পের প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, 'এটি একটি বিশাল প্রকল্প। এই নদীর তীরে বসবাসকারী হাজারো মানুষের কল্যাণের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা উচিত। কিন্তু একটি সার্বভৌম দেশ হিসেবে, প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব বাংলাদেশের।'

'প্রথমে ২০২১ সালে আমাদের কাছে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছিল। পরে সেটি মূল্যায়ন করে ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রতিবেদন পাঠাই। আমরা প্রস্তাবনাটি সংশোধন করে দিতে বলেছিলাম। কিন্তু এর আর কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি,' বলেন তিনি।

'আমরা বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি এবং আমরা তিস্তা নদী প্রকল্পের বিষয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকতে প্রস্তুত,' বলেন তিনি।

ইয়াও ওয়েন বলেন, 'তিস্তা প্রকল্প বাংলাদেশের জনগণকে ব্যাপকভাবে উপকৃত করবে।'

সংস্কারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, 'এটি বাংলাদেশ সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয়।'

তবে, চীন সুষ্ঠু সংস্কার শেষে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর চায় বলে জানান তিনি।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, 'চীনে চিকিৎসা নিতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিরা কুনমিংয়ের তিনটি শীর্ষ হাসপাতালে প্রবেশাধিকার পাবেন।'

'বাংলাদেশিরা আবেদন করলে সহজেই ভিসা পাবেন,' যোগ করেন তিনি।

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে চীন ও বাংলাদেশের অবস্থান একই বলেও উল্লেখ করেন চীনা রাষ্ট্রদূত।

ইয়াও ওয়েন জোর দিয়ে বলেন, 'আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সরকারের মধ্যে যুদ্ধবিরতি এখন অগ্রাধিকার এবং চীন রোহিঙ্গাদের সুষ্ঠু প্রত্যাবাসন চায়।'

Comments

The Daily Star  | English

ICT to review progress in cases against army officers today

The International Crimes Tribunal-1 today is to review the progress in a July uprising killing case and two enforced disappearance cases, in which 32 people, including 25 serving and retired army officers, stand accused.

7h ago